নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ২৫ নং এর সদ্য সাবেক কাউন্সিলর তরিকুল আলম পল্টু আসামীদের আটক করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেন। বাংলাদেশ রাজশাহী ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন রাজশাহী শাখা কার্যালয়ে শনিবার বেলা ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পল্টু নিজেই। তিনি উল্লেখ করেন পাঁচ বার রাসিক ২৫নং ওয়ার্ড হতে কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন। প্রতিটি নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে তিনি নির্বাচন করেছেন। বরাবরের ন্যায় চলতি বছরের গত ২১ জুন রাসিক নির্বাচনে তিনি আবারও অত্র ওয়ার্ড হতে নির্বাচনে অংশ গ্রহন করেন।
এই নির্বাচনে তাঁর প্রতিদন্দিত ছিলেন আলিফ আল মাহমুদ লুকেন। তিনি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেই সবসময় মারমুখী আচরণ শুরু করেন। সেইসাথে তাঁকে এবং তাঁর লোকজনকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ সন্ত্রাসী কার্যক্রম করতে থাকেন। তিনি আরো উল্লেখ করেন। নির্বাচন পরবর্তী সময়ে লুকেন তাঁর বাসায় এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাঁকে প্রাণ নাশের হুমকী দেন। তিনি বলে নির্বাচনের সময়ে তাঁর প্রচার মাইক ব্যবহারকারী অয়োন নামে একজনকে নির্বাচনের ৪-৫ পুর্বে ধরে নিয়ে গিয়ে লুকেন ও তার সন্ত্রাসীরা মরাপিট করেন।
তিনি আরো বলেন, চলতি মাসের ৩তারিখ তালাইমারিস্থ তাঁর নিজ কার্যালয়ে ভাগ্নে ইনজামামুল আল মাহমুদ রিয়ানকে নিয়ে বসে ছিলেন। এ সময়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে লুকেন এসে রিয়ানকে বাহিরে আসার জন্য বলেন। রিয়ান বাহিরে আসামাত্র লুকেন ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী প্রায় ১৫-২০জন মিলে রিয়ানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে ডান হাতের উপর, বুকে, মাথায় ও ডান হাতের কবজিতে চাইনিজ কুড়াল ও চাপ্পর দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন তারা।
তিনি বলেন, রিয়ানের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে তারা চলে যান। এরপর রিয়ানকে তুলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতলে নিয়ে আসেন বলে জানান পল্টু। এ নিয়ে চলতি মাসের ৪তারিখ আরএমপি বোয়ালিয়া মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পুলিশ তাদের আইনের আওতায় আনছে না বলে অভিযোগ করেন তিনি। আটক না হওয়ায় আসামীরা তাঁকে বার বার প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি দ্রুত সকল আসামীকে আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুররোধ করে সংবাদ সম্মেলন থেকে। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন রেজাবুল হাসান সেন্টু ও রিয়ান।
মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে বোয়ালিয়া মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ সোহ্রাওয়ার্দী হোসেন বলেন, ঐ মামলায় একজনকে আটক করা হয়েছে। অন্য আসামী আটকের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। যে কোন সময়ে আটক হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।