নিজস্ব প্রতিবেদক: “শেখ রাসেল দ্বীপ্তময় নির্ভিক নির্মল দূর্জয়” এই প্রতিপাদ্যে রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কালচারাল একাডেমির আয়োজনে নানা কর্মসূচীর মধ্যে দিয়ে গোদাগাড়ীতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গোদাগাড়ীর নবাইবটতলায় সেন্ট যোসেফ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কালচারাল একাডেমির গবেষণা কর্মকর্তা বেনজামিন টুডু। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবাইবটতলায় অবস্থিত সেন্ট যোসেফ নিন্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষ সিস্টার কল্যানী পালমা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির কালচারাল একাডেমির নির্বাহী পরিষদের সদস্য সুশেন কুমার স্যামদুয়ার, সুবোধ মাহাতো, ফুড ইন্সপেক্টর মুকুল টুডু ও গোদাগাড়ী উপজেলা পারগানা ও গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবুলাল মুর্মু। অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষক কলোস্তিনা হাঁসদার সঞ্চালনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক সিস্টার রোজি মুর্মুসহ অন্যান্য শিক্ষক, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
শেখ রাসেলের উপরে রচনা লিখন, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বেনজামিন টুডু বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান জন্মে ছিলেন বলে বাংলাদেশ নামে একটি ভূখন্ড সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরে শেখ মুজিবুর রহমান যখন দেশ গড়ার কাজে নিয়োজিত হয়ে পড়েন, ঠিক সে সময়ে একটি কুচক্রি মহল ১৫ আগস্ট শেখ মুজিবুর সহ সেদিন বাড়ি থাকা তাঁর পরিবাারের সকল সদস্যকে নির্মমভাবে হত্যা করে। এর মধ্যে সব থেকে কষ্ট দিয়ে সর্বশেষে হত্যা করে দশ বছর দশ মাসের শিশু শেখ রাসেলকে। এ ইতিহাস বাঙালী জাতিগোষ্ঠীর জন্য একটি কলঙ্ক অধ্যায়ের ইতিহাস।
তিনি আরো বলেন, শেখ রাসেল ছিলেন একজন হাস্যাজ্জোল ছেলে। তাঁর ভিতরে অনেক প্রতিভা ছিলো। শেখ মুজিবুর রহমান তাকে অনেক আদর করতেন। আজ বেঁচে থাকলে তিনিও হয়তো দেশের হাল ধরতো। যেমনটি ধরেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠান থেকে শেখ রাসেলসহ তাঁর পরিবারের নিহত সকল সদস্যর রুহের মাগফিরাত কামনা করেন করেন তিনি। শেষে বিভিন্ন ইভেন্টে বিজয়ী সকল সদস্যর মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন তিনিসহ উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।