নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর বলেন, শেখ রাসেল শুভ্র শৈশবের প্রতীক। সে বেঁচে থাকবে সমৃদ্ধ তারণ্যের অফুরান প্রাণশক্তিতে। বুধবার শেখ রাসেলের ৬০তম জন্মদিবস। দিবসটি উপলক্ষ্যে সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘শেখ রাসেল দীপ্তিময় নির্ভীক নির্মল দুর্জয়’- শীর্ষক প্রতিপাদ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, পৃথিবীতে যত রাষ্ট্রক্ষমতার পরিবর্তন হয়েছে, অভ্যূত্থানের ঘটনা ঘটেছে,কোথাও এত নিষ্ঠুরতা দেখা যায়নি যেটা- ৭৫’র ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সাথে ঘটেছে।
প্রধান অতিথি বলেন, শেখ রাসেল ছিল ক্ষণজন্মা শিশু। সে ছিল দুরন্ত, সাহসী, দায়িত্বশীল ও মেধাবী, তার পরিবারের সবার কাছে সে ছিল অনেক স্নেহের। শেখ রাসেলকেও সেদিন ঘাতকরা বাঁচতে দেয়নি। যে শিশুটি নিজের পোষা কবুতর, মুরগির মাংস খেত না, তার চোখ খোলা রেখেই সেদিন ঘাতকরা সর্টরেঞ্জ দিয়ে তারমাথায় গুলি করে হত্যা করেছিল। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেখানেই থাক ভালো মানুষ হও, সুসন্তান হও এবং শৃঙ্খলার মধ্যে বড় হও। নিজে অন্যায় করা যাবে না এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হতে হবে।
অভিভাবকদের উদ্দেশেতিনি বলেন, সন্তান ক্লাসে প্রথম বা দ্বিতীয় হলো সেটা মূখ্য বিষয় নয়, বিষয় হলো সন্তানদের মানুষের মতো মানুষ তৈরি করা। তিনি আরও বলেন, এই দিবসের মাধ্যমে শিশুহত্যার বিচার দেখতে চাই। সকল জঞ্জাল মারতে চাই, সুরক্ষা দিতে চাই ভবিষ্যতের সকল শিশুকে। বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সকল ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাঙালি এগিয়ে যাচ্ছে। আমরা একটি সুন্দর বাংলাদেশ দেখতে চাই। স্মার্ট বাংলাদেশ হবে ২০৪১ সালের মধ্যেএবং ২০৭১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলাহবে পৃথিবীর অনন্য একটি দেশ । মুখ্য আলোচক ছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রনব কুমার পাণ্ডে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তৃতা করেন রাজশাহী রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি (প্রশাসন ও অর্থ) রশিদুল হাসান, আরএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ হেমায়েতুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকসহ নানাশ্রেণি-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাবের করা হয়। শোভাযাত্রাটি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমি চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে বিভাগীয় কমিশনার দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত সাংস্কৃতিক পরিবেশনা ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।