নিজস্ব প্রতিবেদক: গত ১৭ অক্টোবর দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নগরী উপশহর এলাকার একটি রেস্তোরায় সংবাদ সম্মেলন করেন ভূক্তোভোগি রাসিক ১৫নং ওয়ার্ড সাবেক কাউন্সিলর ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ী এবং রাজশাহী মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক সদস্য রেজাউন নবী আল মামুন। তিনি বলেন, রাজনীতি করার সুবাদে তিনি জনগণের পাশে থাকেন।
তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে দৈনিক মানবজমিন পত্রিকার শেষের পাতায় গত ১৭ অক্টোবর ‘রাজশাহীতে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেয়ার অভিযোগ’ এনে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ভূয়া, মিথ্যা ও বিভ্রান্তকর তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হযেছে। সংবাদে উল্লেখ করা হয় তিনি তাঁর সহযোগিদের দিয়ে মাহমুদুর রহমান নামে একজনকে কেশরহাট থেকে তুলে নিয়ে এসে নির্যাতন করে চাঁদা দাবী করেন। এছাড়াও আরো উল্লেখ করা হয়েছে ডিস ব্যবসার আড়ালে তিনি কিশোর গ্যাং ও সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ন্ত্রণ, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। যা সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।
প্রকৃত ঘটনা হলো তানোর থানার ছাওড় গ্রামের মনজিল প্রামানিকের ছেলে মাহমুদুর রহমান একজন অসৎ ও প্রতারক ব্যক্তি। তিনি পি এল সি আল্টিমা ও এম টি এফ ই সহ কয়েকটি ভূয়া এম এল এফ কোম্পানীর মাধ্যমে গ্রাহকদের হাজার হাজার টাকা লোপাট করে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তিনি আরো উল্লেখ করেন সর্বোস্ব হারানো পবার শ্রীপুর গ্রামের মুনসুর আলী ছেলে সম্রাট আলী, তানোর থানা বারঘোরিয়া গ্রামের আফসার মন্ডলের ছেলে আলমগীর হোসেন, ময়েজ উদ্দিনের ছেলে আনোয়ার হোসেন, দুয়ারী গ্রামের ফজলু মন্ডলের ছেলে মিঠুন ময়িা, দাদপুর চকপাড়া গ্রামের হায়দার আলীর ছেলে সালাউদ্দিন, পুটিয়াপাড়া গ্রামের আমিনুলের ছেলে শাকিল ও নওগাঁ নিয়ামতপুরের গুজিশহর গ্রামের আমিনুর ইসলামের ছেলে রাকিব রানার নিকট হতে প্রায় আটত্রিশ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এই সকল ব্যক্তিদের অতি সহজে মাসে অধিক মুনাফা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে এই অর্থ তিনি নেন।
এ নিয়ে মাহমুদুর রহমান ও মাধবপুর স্কুলের শিক্ষক আল আমিন এর নামে চলতি বছরের মে মাসে আরএমপি বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন সবার পক্ষে সম্রাট আলী। রেজাইল নবী আল মামুন বলেন, টাকা দিয়ে প্রতারণা শিকাড় ব্যক্তিরা তাঁর নিকট এসে প্রতিকার চাইলে তিনি মাহমুদুরকে তাঁর কার্যালয়ে ডেকে এনে শালিস বসান। শালিসে টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেন তিনি। এসময়ে কবির হোসেন নামে একটি ডেভেলপার কোম্পানীর মালিক মাহমুদুর তাঁর আত্মীয় বলে শালিস থেকে মাহমুদুর রহমানকে নিয়ে চলে আসেন। সেইসাথে সমস্ত টাকা ফেরত দেয়া কথা বলেন। কিন্ত্র এখন তারা কেউ টাকা দিচ্ছেনা এবং মাহমুদুরকেও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেন।
তিনি আরো বলেন, টাকা গুলো একেবারে আত্মস্বাত করার জন্য তারা এই ব্যবস্তা করেছে। তাঁর নামে মিথ্যা প্রতিবেদন প্রকাশ করিয়েছে। যাতে করে তিনি এই সর্বশান্ত ব্যক্তিদের পাশে না দাঁড়াতে পারেন। সেইসাথে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করার চেষ্টা করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এছাড়াও পাওনাদারদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমখী দিচ্ছেন বলে জানান তিনি। তিনি আবারও এই প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করেন। সেইসাথে আগামীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় আনার জন্য আইন শৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন মিন্টু, মাসুদ রানা, শাওন, মিঠুন মিয়া, রাবিক রানা, শাকিল, সালাউদ্দীন, আলমগীর হোসেন, আনোয়ার হোসেন, ইলিয়াস কাঞ্চন, শিমুল, জুয়েল জান্নাতুল, আলফাজ ও মিঠুসহ আরো অনেকে। এদিকে মাহমুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করার জন্য মোবাইল করলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়ায় তার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।