নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে আবারও শ্যোন এরেষ্ট দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। যতগুলো নতুন করে মামলা হয়েছিলো সব মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি। গত বৃহস্পতিবার শাহ্ মখ্দুম থানায় করা মামলায় তিনি জামিন পেলেও এয়ারপোর্ট থানায় নতুন করে মামলায় তাঁকে আবারও শ্যোন এরেষ্ট দেখানো হয়।
জনপ্রিয় বিএনপি নেতা মিলনের জনপ্রিয়তা দেখে একটি মোহল ভীত হয়ে বার বার সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনীকে দিয়ে মামলা করাচ্ছে। এই মামলা করে হয়রানী ছাড়া কোন লাভ হবেনা বলে জানান বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, বিস্ফোরক আইনে নতুন করে আরএমপি এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেছে পুলিশ। যার জিআর-৬৫/২৩। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, এই সকল মিথ্যা মামলা গুলো গত সিটি নির্বাচনের সময়ের ঘটনা নিয়ে করা। সে সময়ে নাকী বিএনপি নাশকতার জন্য বিস্ফোরক বহন ও ব্যবহার করেছে। আসলে গত নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহন করেনি। সে ক্ষেত্রে এই সকল মামলা কতটুকু যুক্তিযুক্ত তা দেশবাসী জানেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
উক্ত মামলায় বৃহস্পতিবার এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে সিএমএম আদালতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে হাজির করা হয়। মিলনের আইনজীবীগণ জামিন আবেদন করে যুক্ত দার করান। মিলনের আইনজীবী ও সরকারী আইনজীবীর মধ্যে যুক্ততর্ক শেষে বিচারক তাঁকে জামিন না দিয়ে শ্যোন এরেষ্ট দেখান। বর্তমানে তিনি রাজশাহী সেন্ট্রাল জেল হাজতে রয়েছেন তিনি। এ সময়ে আদালত চত্বরে মিলনের মুক্তির দাবীতে শত শত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। মিলন নেতাকর্মীদের এ সময়ে হাত নেড়ে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য গত ২৮শে জুলাই বৃহস্পতিবার বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে দিবাগত পৌনে ১টার দিকে ডিবি পরিচয়ে ধানমন্ডি থানার পাশে ৬ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে এডভোকেট শফিকুল হক মিলনকে তুলে নিয়ে যায় পুলিশ। ঐ মামলায় গত ৬ আগস্ট ঢাকা হাইকোর্ট থেকে জামিন মঞ্জুর হলেও পরবর্তীতে জেল গেট থেকে নতুন ২টি মামলা দেখিয়ে আবারও গ্রেফতার দেখানো হয়। সেই থেকে একের পর এক মামলা করেই চলেছে পুলিশ।
কোর্ট চত্বরে এসময়ে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিএনপি জেলা শাখার সদস্য অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক, ১নং ওয়ার্ড সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা, যুবদল রাজশাহী জেলার সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ, মোজাফ্ফর হোসেন মুকুলসহ রাজশাহী জেলা ও মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
এডভোকেট শফিকুল হক মিলনের আইনজীবী আলহাজ¦ আলী আশরাফ মাসুম বলেন, সরকারের আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা সম্পূর্ন উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষার্থে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের করছেন। যার কোন ভিত্তি নাই। তিনি বলেন, মিলন একজন অসুস্থ মানুষ। তাঁকে নিয়মিত থেরাপি দিতে হয়। অসুস্থতা ও তাঁর পরিবারের কথা চিন্তা করে এবং এই মামলাগুলো উদ্দেশ্য প্রনোদিত ভেবে মিলনকে জামিন এবং আর এই বিষয়ে নতুন করে মামলা না দেয়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।