নিজস্ব প্রতিবেদক: শারদীয় দুর্গোৎসবের বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জন মঙ্গলবার। বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা। দেবীর বিদায়ের আগে মণ্ডপে মণ্ডপে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠেছিলেন নারীরা। দেবী দুর্গার চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন তারা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজশাহী মহানগরের প্রতিটি পূজামণ্ডপগুলো ঘুরে দেখা যায় বিবাহিত নারীদের সিঁদুর খেলার দৃশ্য। দেবীর চরণ থেকে সিঁদুর নিয়ে তারা একে অপরের মাথায় দেন। কেউ কেউ শেষবারের মতো দেবী দুর্গার সিঁথিতে লাগিয়ে দেন সিঁদুর। সারা দেশেই মায়ের প্রতিমা বিসর্জনের শেষ মুহূর্তের আরতি হিসেবে এই সিঁদুর খেলা হয়।
জানা গেছে, স্বামীর মঙ্গল কামনায় দশমীর দিন নারীরা মা দুর্গার সিঁথিতে দেওয়া সিঁদুর নিজের সিঁথিতে লাগিয়ে আশীর্বাদ নেন। সিঁদুর, পান ও মিষ্টি নিয়ে দুর্গা মাকে সিঁদুর ছোঁয়ানোর পর একে অপরকে সিঁদুর লাগিয়ে দেন তারা। সিঁদুর খেলা শেষে শেষবারের মতো দেবীর আরাধনা করেন। দেবী দুর্গার চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন নারীরা
সাহেববাজার, কুমারপাড়া, বাকীর মোড় ও আলুপট্টিসহ বিভিন্ন পূজামণ্ডপে সিঁদুর খেলায় অংশ নেওয়া আরতী রানী, শিউলী ঘোষ, আরাধনা দাস, চৈতী রানী ও দিপালী দাসসহ অন্যান্যরা জানান, তারা দেবী দুর্গার কাছে প্রার্থনা করেছেন, তারা যেন স্বামী সংসারে সবাইকে সুখে-শান্তিতে রাখেন প্রতিটি মুহূর্তে। দেশের প্রতিটি মানুষ যেন শান্তিতে থাকে সেই প্রার্থনাও করেছেন তারা।
তারা আরো বলেন, ‘মাকে বিদায় জানাচ্ছেন সিঁদুর দিয়ে। পূজার মাধ্যমে মায়ের কাছে স্বামীর মঙ্গল ও দীর্ঘজীবন কামনা করছেন তারা। এই সিঁদুর পরেই দেবী আগামী বছর পুনরায় ফিরে আসবেন বলে তারা বিশ^াস করেন।’
এদিকে সিঁদুর খেলার নগর জুরে প্রতীমা বিসর্জনের প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা। দেবী দুর্গাকে বিদায় জানাতে ভক্তদের ঢল নামে পদ্মা নদীর তীরে। দেবীকে বিসর্জনের বিষয়ে এক পুরোহিত জানান, দর্পণ বিসর্জনের মাধ্যমে মূলত সকালেই দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন সম্পন্ন হয়। বিকালে শুধু আনুষ্ঠানিক শোভাযাত্রা করে দেবী দুর্গা ও অন্যান্য দেব-দেবীর বিসর্জন দেওয়া হয়। শেষ দিনেও যেন কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য আইন শৃংখলাবাহিনী ছিলো তৎপর। দূর্গা বিসর্জনের শেস মুহুর্ত পর্যন্ত তরা প্রতিটি এলাকা টহল দেন।