নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নওহাটা পৌর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আয়োজনে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়। নওহাটার দুয়ারী মাদ্রাসা মাঠে আয়োজিত কর্মী সভায় বিএনপি চেয়ারপার্সন তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনা ও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলনসহ সকল রাজবন্দির মুক্তির দাবিতে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।
নওহাটার সিন্দুর কুসুম্বী নামোপাড়া দাখিল মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য, নওহাটা পৌরসভার সাবেক সফল মেয়র ও পৌর বিএনপি’র আহবায়ক শেখ মকবুল হোসেন। ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেনের পরিচালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌরসভার সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, বিএনপি’র আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কাউন্সিলর সাইদুর রহমান, এমদাদুল হক ও শরিফুর রহমান, জেলা যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি, মোজাফ্ফর হোসেন মুকুল ও জেলা যুবদলের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট রাকিবুল ইসলাম পিটার।
আরো উপস্থিত ছিলেন পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লা, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ সরকার, পৌর যুবদল নেতা হাসান ইমাম, জিয়াউর রহমান, ওয়াসিম, আক্তারুল ইসলাম আতা, সুইট, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন মন্ডল, পরশ, মিজান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা দেলোয়ার, পৌর ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক শাকিব হাসান, আহ্বায়ক সোহেল রহমান, সদস্য সচিব ফয়সাল কবির সজল, ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি ইলিয়াস, সাধারণ সম্পাদক নবাব আলী, ওয়ার্ড ছাত্র দলের সভাপতি সাদিকুল ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবসহ নওহাটা পৌর এবং ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, এই সরকার প্রধান দেশে তাঁর বাবার মত বাকশাল প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য সকল প্রকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিনা ভোটে ও দিনের ভোট রাতে করে নির্বাচিত হয়ে জনগণের প্রতি তাঁদের দায়িত্ববোধ নেই বললেই চলে। নিজেদের উন্নয়নে সর্বদা সচেষ্ট এই সরকার প্রধান ও তাঁর আশে পাশের নেতৃবৃন্দ এবং মন্ত্রী ও এমপিরা। এর মধ্যে আমলারাও বাদ নেই। এদের মধ্যে প্রায় সবাই অর্থ পাচার করে বিদেশে বাড় গাড়ি করে নিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, এই সরকার মেগা প্রকল্পের নামে হাজার কোটি টাকা লোপাট করে দেশকে একটি তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছে। নিত্যপন্যের মূল্যে অতিরিক্ত বৃদ্ধি হলেও এই সরকার তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেনা। কারন দেশে রিজার্ভ নাই বললেই চলে বলে জানান তিনি। প্রধান অতিথি বলেন, এই সরকার আবার ক্ষমতায় থাকার জন্য নীলনক্সা আঁকতে শুরু করেছে।
বিএনপি’র বলিষ্ট নেতৃবৃন্দ যেন নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে না পারেন সেজন্য তাঁদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী, আটক ও সাজা প্রদান করে কারাগারে প্রেরণ করছে। এত কিছু করেও এই সরকারের শেষ রক্ষা হবে না উল্লেখ করে সরকার পতনের আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহন করার আহ্বান জানান। সকল বাধা অতিক্রম করে ২৮ তারিখের ঢাকায় মহাসমাবেশে যোগদান করার জন্য নেতাকর্মীদের পরামর্শ দেন তিনি। সেইসাথে বেগম জিয়াসহ আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবী করেন তিনি।