নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আয়োজনে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাবি সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়। দেশে চলমান বিচারহীনতা, অপশাসন, সীমাহীন দুর্নীতি, অনাচার, অর্থ পাচার ও সিন্ডিকেট কর্তৃক দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত উর্ধগতিতে বিপর্যস্ত জনগণকে রক্ষা, ২৮ অক্টোবর ঢাকার শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশে ক্ষমতাসীনদের নৃশংস হামলা, নেতা-কর্মীদের হত্যা, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ আন্দোলনরত সকল দলের সহস্রাধিক নেতাকর্মী গ্রেফতার, বাড়ি বাড়ি তল্লাশি, হয়রানি ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং আওয়ামী সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে এই অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি প্রফেসর এফ নজরুল ইসলাম।
জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান খান মুক্তার সঞ্চালনায় কর্মসূচীতে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন প্রফেসর সায়েদুর রহমান পান্নু, প্রফেসর ফজলুল হক, প্রফেসর সাহেদ জামান, প্রফেসর মতিয়ার রহমান, প্রফেসর তোফাজ্জল হোসেন, প্রফেসর জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর নুরুল হক মোল্লা, প্রফেসর খন্দকার ইমদাদুল হক সানজিদ, প্রফেসর হাবিবুর রহমান, প্রফেসর মোস্তফা কামাল আকন্দ, প্রফেসর মামুনুর রশিদ, প্রফেসর সাইফুল ইসলাম ফারুকি, প্রফেসর গোলাম রব্বানী মন্ডল, প্রফেসর মাজেদ আলী চৌধুরী, প্রফেসর রবিউল ইসলাম, প্রফেসর হাছানাত আলী, প্রফেসর আওরঙ্গজীব আব্দুর রহমান, প্রফেসর আব্দুল আলীম, প্রফেসর আমিনুল হক(পরি), অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহিম সাজিদ।
আরো উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর সাবিরুজ্জামান সুজা, প্রফেসর পারভেজ আজহারুল হক প্রিন্স, প্রফেসর আতিকুল ইসলাম, অধ্যাপক সামিউল ইসলাম ও প্রফেসর হারুনর রশিদসহ অন্যান্য প্রফেসরগণএবং অত্র ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ। উপস্থিত বক্তারা বলেন, এই সরকার দমন নিপিড়ন করে বিএনপিকে কোনঠাসা করতে ”াচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবর সরকার তারি আজ্ঞাবাহিণী এবং আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দিয়ে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সনংগঠনের নেতাকর্মীদের খুন করিয়েছে। সেইসাথে খুন করিয়েছে পুলিশ সদস্যকেও। এতে তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি। তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ও হাসাপাতালে হামলা চালিয়েছে। এছাড়াও তারা বিভিন্ন যানবাহনে আগুন দিয়ে বিএনপি’র নাম দিচ্ছে।
তারা আরো বলেন, আবারও জোর করে ক্ষমতায় আসার জন্য ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বিএনপি মহাসচিব ও স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নামে মামলা দিয়ে আটক করেছে। শুধু তাই নয় মহাসচিব মীর্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আটক করেছে। সেইসাথে মির্জা আব্বাসকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে দিয়েছে। এসব করে কোন লাভ হবেনা। যত নিপিড়ন ও নির্যাতন হবে বিএনপি ততই চাঙ্গা হবে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা যা করেছে সব গুলো বহির্বিশ^ দেখেছে। তারাও ব্যবস্থা নিচ্ছে উল্লেখ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা।