নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী গোদাগাড়ীর পাকড়ী মহাবিদ্যালয়ে সম্প্রতি বিভিন্ন পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। গত শনিবার রাজশাহী কলেজে দুপুর ২টায় এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষার মধ্যে অফিস সহকারী ও অফিস সহায়ক পদও রয়েছে। অথচ এই দুইটি পদের বিপরীতে রাজশাহী জেলা জজ আদালতে ৮০/২০২৩ নম্বর মিস আপীল দায়ে করা আছে। যা বর্তমানে চলমান। অফিস সহকারী পদে পাকড়ী উত্তরপাড়ার আজাহার আলী দেওয়ান এর ছেলে আশরাফুল ইসলাম ও অফিস সহায়ক পদে মৃত শাম মোহাম্মদ কাজীর ছেলে হাকিম কাজী এই মামলা দায়ের করেন। ৯অক্টোবর ২০২৩ইং তারিখ শুনানীর দিন ধার্য রয়েছে।
বিষয় গুলো জানিয়ে আশরাফুল ইসলাম ও হাকিম কাজী বলেন, এই কলেজ প্রতিষ্ঠাকাল থেকে তারা স্বপদে বহাল থেকে চাকরী করছেন। তারা উভয়ে ১৮-০৫-২০০০ইং সালে নিজ নিজ পদে যোগদান করেন। নিয়োগ সম্পর্কিত সকল প্রকার বৈধ কাগজপত্র তাদের রয়েছে। আশরাফুল বলেন, সে সময়ে পাকড়ী মহাবিদ্যালয়ে অধ্যক্ষসহ শিক্ষক,কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রদান করা হয়। সেই নিয়োগ পত্রের আলোকে স্মারক নং পাকনি/৫৯/২০০০ মুলে অফিস সহায়ক পদে নিয়োগ প্রদান করা হলে তিনি ১৮-০৫-২০০০ইং তারিখে কর্মস্থলে যোগদান করেন।
এদিকে হাকিম কাজী বলেন, একই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্মারক নং কমিটি স্মারক নং পাকনি/৬৩/২০০০ মূলে তিনি ২৬-০৪-২০০০ইং তারিখে নিয়োগ প্রত্র প্রদান করলে তিনিও ১৮-০৫-২০০০ইং তারিখে কর্মস্থলে যোগদান করেন। সেইথেকে তারা উভয়ে অনেক কষ্ট করে অত্র কলেজের চাকরী করে আসছেন। তারা আরো বলেন, বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নীতিমালা নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়ার পরে ম্যানেজিং কমিটি ২০-০৫-২০০০ইং তারিখে ৬/২০০০ অধিবেশনে তাদেরসহ সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ায় যোগদান অনুমোদন করেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
এ অবস্থায় অত্র কলেজের অধ্যক্ষসহ সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এমপিওভূক্ত করার জন্য ডিজি শিক্ষা বরাবরে আবেদন করলে তাদের পোষ্ট অতিরিক্ত হওয়ার কারনে আবেদন সে সময়ে গ্রহন যোগ্য হয়নি বলে জানান তারা। তারা আরো বলেন, এমপিও নীতিমালা অনুযায়ী ১২জুন ২০১৮ বিধি মোতাবেক ৯ধায়ায় উদ্বৃত্ত পদের শিক্ষক- কর্মচারীগণকে প্যাটার্নভুক্ত শূন্যপদের বিপরীতে জৈষ্ঠতার ভিত্তিতে সমন্বয় করার বিধান রয়েছে। এ সত্তেও কলেজ কর্তৃপক্ষ পরবর্তীতে তাদের পদ সহ বিভিন্ন পদে নিয়োগের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলে তারা নিষেধাজ্ঞার জন্য বিজ্ঞ গোদাগাড়ী সহকারী জজ আদালতে ১৯৭/২২ অ: প্র: মামলা দায়ের করেন।
কিন্তু আদালত ২০-১১-২০২২ ইং তারিখে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আবেদন খারিজ করলে বাধ্য হয়ে তারা একই তারিখে অত্র আদেশের বিরুদ্ধে ৮০/২০২৩ মিস আপীল দায়ের করেন। যা চলমাল রয়েছে। মামলা নিস্পত্তি না হতেই ম্যানেজিং কমিটি ও অধ্যক্ষ মিলে এই নিয়োগ দেয়ার জন্য পরীক্ষা নিয়েছে। যা সম্পূর্ন অবৈধ এবং আদালত অবমাননা দাবী করে মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তাদের পদে নিয়োগ বন্ধ রাখার দাবী জানান।
এ বিষয়ে পাকড়ী মহাবিদ্যালয়ের সভাপতি এডভোকেট এজাজুল হক মানুর নিকট মোবাইল জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কোন মামলা নাই। অভিযোগকারীরা একটি মামলা দায়ের করে এনজামশান চেয়েছিলেন। কিন্তু আদালত তা খারিজ করে দেন। এরপর তারা আাপিল করলেও তা নথিভুক্ত হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, মামলা থাকলেও সরকারী কাজে কোন বাধা থাকেনা বলে জানান সভাপতি।