নিজস্ব প্রতিবেদক: “উন্নয়নের জন্য উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা নীতি” এই প্রতিপাদ্যে বুধবার গণ প্রকৌশল দিবস ও আইডিইবি’র ৫৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। র্যালির পূর্বে প্রধান অতিথি রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর ও বিশেষ অতিথি হিসেবে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ উপস্থিত থেকে বেলুন-ফেস্টন ও পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনীয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) এর উদ্যোগে ইন্সটিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (আইডিইবি) রাজশাহী কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্নাঢ্য রালি বের করে রাজশাহী মহানগরীর গুরুত্বপুর্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ করেন। এরপর আইডিইবি’র কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইডিইবি রাজশাহীর সভাপতি আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামানের সঞ্চালানায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন- আইডিইবি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নওশের আলী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ- সভাপতি কবির উদ্দিন।
এছাড়াও রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি প্রকৌশলী আমিনুল হক, সহ – সভাপতি প্রকৌশলী সৈয়দ সাইদ আহম্মদ সানি, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সাজ্জাদুর রহমান , বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী সেখ মুজিবুর সাধারণ সম্পাদক, বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশলী রহমান , প্রকৌশলী মশিউর রহমান সাংগঠনিক সম্পাদক ( ওউঊই ) রাজশাহী জেলা পরিষদ রাজশাহী জেলা, যুগ্ম সম্পাদক প্রকৌশলী আয়াত উল্লাহ , হ্রাগার ও দপ্তর সম্পাদক প্রকৌশলী আহসান হাবীব , অর্থ সম্পাদক প্রকৌশলী আবু বাশির , কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর প্রকৌশলী আজিজুল হক, কেন্দ্রীয় কাউন্সিলর প্রকৌ জিয়া উদ্দিন, প্রকৌশলী আব্দুর রহিম দেওয়ান, প্রকৌশলী আবু বকর ছিদ্দিক, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পদক প্রকৌশলী শাহীনুল হক, প্রকৌশলী সুমন হায়দার, প্রকৌশলী নুরুন্নবী , সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী আহমদ আল মঈন পরাণ , প্রকৌশলী নাজমুল হক , নির্বাহী সদস্য নূর-এ-সায়েম ও প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের শিক্ষার্থীবৃন্দসহ রাজশাহীস্থ বিভিন্ন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য ডিপ্লোমা প্রকৌশলীবৃন্দ।
প্রধান অতিথি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আইডিইবির জাতীয় সম্মেলনে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের ৮৫ ভাগ কাজ করার স্বীকৃতি দিয়ে তাঁদের গণপ্রকৌশলী হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন। দেশের উন্নয়ন ও বেকারত্বের হার কমাতে কারিগরী শিক্ষার কোন বিকল্প নাই। সেজন্য কারিগরী শিক্ষার হার বাড়তে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন মান সম্মত শিক্ষক। তিনি বলেন, প্রতিবছর কর্মক্ষম মানুষ কর্মবাজারে যুক্ত হয়েও প্রচলিত কর্মধারনায় কর্মসংস্থান সম্ভব হচ্ছে না। ফলে গাণিতিক হারে বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। জাতীয় টেকসই উন্নয়নের আগামী চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গণ মানুষের উদ্ভাবনী ধারনা ও উদ্যোক্ত বিকাশের বিষয়টি মাথায় রেখে কারিগরী শিক্ষার প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করেন।