রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৯ পূর্বাহ্ন

পুঠিয়ায় আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও আটক করছে না পুলিশ

  • প্রকাশ সময় রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ৯১ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পুঠিয়ার দাশমাড়িয়া গ্রামে জমি দখলকে কেন্দ্র করে মারপিটে একই পরিবারের তের থেকে চৌদ্দ জনকে গুরুতর আহত এবং বাড়িতে আগুন ও জমির ফসল নষ্ট করে দেয় ভূমিদস্যুরা। শুধু তাই নয় রোববারও (১৯ নভেম্বর) বাড়ির বাউন্ডারীতে আগুন দিয়েছে বলে জানা গেছে। গত ১২ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে সকাল ৯টায় অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে তাদের আহত করে। অত্র গ্রামের জমির এক অংশিদার মারপিটে আহত মকবুল হোসেনের ছেলে গোলাম মোস্তফা এই তথ্য নিশ্চিৎ করেন। তিনি বলেন, এ নিয়ে পুঠিয়া থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ তাদের মামলা নেননি। এতে করে সোহেল গংরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। প্রতিনিয়ত মোবাইলে তাদের প্রাণ নাশের হুমকী দিয়েই চলছে। সেইসাথে তাদের জমিতে থাকা ফসলাদি প্রতিদিন কেটে ফেলছে বলে জানান তিনি।

থানায় মামলা না নেয়ার নিরুপায় হয়ে সুষ্ঠু বিচার ও জানমাল রক্ষার্থে তিনি বাদি হয়ে গত বুধবার জেলা রাজশাহী বিজ্ঞ পুঠিয়া থানা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মোট একুশ জনকে এবং অজ্ঞাত আরো ৫০/৬০জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান মোস্তাফা। কোর্টে মামলার পরে কোর্ট থেকে আসামীদের বিরুদ্ধে আটকের নির্দেশনা দিয়ে অর্ডার পুঠিয়া থানায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করলেও থানা কর্তৃপক্ষ তা আমলে নিচ্ছেনা বলে জানান তিনি। মূল আসামী একই গ্রামের বাবুর ছেলে সোহেলসহ অন্যান্য আসামীরা প্রকাশ্যে বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেইসাথে থানায় গিয়ে পুলিশের সাথে বসে চা পান করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, সোহেল গংরা তাদের মারপিট করে পরিবারের সকল সদস্যকে আহত করলো। এখানো তাতের আরেক ভাই আব্দুস সাত্তার (৪২) রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশ সোহেল গংদের আটক না করায় রোববার সোহেল তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে এসে মামলা দায়ের করেছেন। তিনি এই মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানা। সেইসাথে মোস্তফা সহ আহত সকল ব্যক্তি আসামীদের দ্রুত আটক করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান। উল্লেখ্য জেলা-রাজশাহ, উপজেলা-পুঠিয়া, মৌজা-দাশমাড়িয়া, খতিয়ান নং-১০৩, দাগ নং-৭৫৩, জমির পরিমান- ০.১৪ একর (১৪ শতক) জমিকে কেন্দ্র করে এই মারামারি হয়।

এই মামলার আইনজীবী এডভোকেট আরিফুর রহমান জুয়েল বলেন, মামলার সমস্ত কপি পুঠিয়া থানায় পৌঁছে গেছে। অথচ থানা কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেয়ায় বিবাদী পক্ষের আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শুধু তাই নয় আসামী সোহেল রোববার রাজশাজী কোর্টে এসে তাঁর মোক্কেলদের আসামী করে মামলা করে গেছে বলে উল্লেখ করেন। তিনি আসামীদের দ্রুত আটক করে কোর্টে প্রদান করার দাবী জানান।

এই মামলার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর আবু বক্কার সিদ্দিক বলেন, তিনি এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এখনো হননি। তবে মারামারির পওে তনি ঘটনাস্থলে গেছেন। এ বিষয়ে রাজশাহী কোর্টে মোস্তফা বাদী একটি মামলা করেছেন। ঐ মামলার কপি পুঠিয়া থানায় পৌঁছেছে। তবে এখনো থানায় মামলা হিসেবে এন্ট্রি হয়নি। একটি নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে এন্ট্রি হবে। অফিসার ইনচার্জ (ওসি) যাকে দায়িত্ব দেবেন তিনিই এই মামলার দায়িত্ব পালন করবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।

 

 

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin