নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর হতে কোট স্টেশন রাস্তাটি অনেক গুরুত্বপূর্ন। কারন লক্ষ্মীপুর মোড়কে মেডিকেল পাড়া বলা হয়ে থাকে। লক্ষ্মীপুর মোড় এলাকায় রয়েছে পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামী হাসপাতাল, ল্যাবএইড ও রয়্যাল হাসপাতালসহ আরো অনেক ছোট বড় ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এখানে প্রতিদিন হাজার হাজার লোক আসা যায়া করে চিকিৎস সেবা নেয়ার জন্য। এর ফলে অসহনীয় যানজোটের সৃষ্টি হয়। সেইসাথে রাস্তার উপরে রাখে রোগি ও ডাক্তারদের বহনকারী যানবাহন। ফলে আরো ব্যপক যানজোটের সৃষ্টি হয়। এই যানজোটে নাকাল হয়ে পরে জনগণ।
যানজোট থেকে জনগণকে মুক্তি দিতে আবারও ঝাউতলা থেকে লক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তাকে ওয়ানওয়ে করা হয়েছে। বুধবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে এ অবস্থা। এর ফলে পথচারীরা পড়েছে অসহনীয় দুর্ভোগে। কারন যারা যানবাহন নিয়ে চন্ডিপুর কিংবা কাজিহাটায় যাবেন তাদের টিবি পুকুর রাস্তা হয়ে যেতে বাধ্য করছে ট্রাফিক পুলিশ। সেখানে ট্রাফিক সার্জেন্টকেও জনগণ ও যানবাহনগুলোকে কন্ট্রোল করতে দেখা যায়।
আবারও হঠাৎ করে রাস্তা ওয়ানওয়ে করার জন্য জনগণের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। অনেক পথচারী, যানবাহন চালক ও যাত্রীরা বলেন, এভাবে ওয়ানওয়ে করে খুব একটা ফল আসবে না। প্রথমে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে। সেইসাথে রাস্তার উপরে যেন কোন প্রকার যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকতে না পারে এবং ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা যেন ভ্যান কিংবা টেবিল বসিয়ে ব্যবসা করতে না পারে সেদিকে নজর দিলে ওয়ানওয়ে নয় এই রাস্তা দিয়েই নির্বিঘ্নে জনগণ ও যানবাহন চলাচল করতে পারবে বলে জানান তারা।
যাত্রী রহিমা খাতুন, লিমন খান, বাসিরুল ইসলাম ও আব্বাস আলীসহ আরো অনেকে অভিযোগ করে বলেন, ঝাউতলা দিয়ে টিবি পুকুর হয়ে ঘুরে যাওয়ার কারনে রিক্সা ও অটোভাড়া তাদের বেশী গুনতে হচ্ছে। কারণ লক্ষ্মীপুর মোড় ঘুরে তাদের সেবা কেন্দ্রে যেতে হচ্ছে। এছাড়াও মেডিকেলসহ বাজারেও তাদের একইভাবে চলাচল করতে হচ্ছে। এতে করে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছে।
তারা আরো বলেন, একদিকে চন্ডিপুর হয়ে মুল সড়কে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ। এখন ঐদিকে যেতে হলে লক্ষ্মীপুরের একটি রাস্তা ব্যবহার করা হচ্ছে। এ অবস্থার ফলে জনগণ পড়েছেন সব থেকে বেশী। অর্থ এবং সময়ের বিষয়টি বিবেচনা করে লক্ষ্মীপুর এলাকাকে ফুটপাত দখল মুক্ত ও যত্রতত্র পার্কিং করা থেকে বিরত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করেন যাত্রীরা।
এ বিষয়ে কাউন্সিলর নুরুজ্জামান টুকু বলেন, বিভিন্ন ধরনের সেবাকেন্দ্র হওয়ায় এই রাস্তাটি যানজোটের কবলে পরে। বিশেষ করে দুপুর থেকে এ অবস্থা বেশী হয়। সেজন্য এই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই ব্যবস্থা বলবত থাকবে। জনগণকে এই ব্যবস্থা মেনে নেয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি। জনগণের সামান্য কষ্ট হলেও নির্বিঘ্নে সবাই চলাচল করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তবে সকাল থেকে রাস্তা ওয়ান ওয়ে করা হয়েছে তিনি জানেন না বলে জানান কাউন্সিলর।