নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে এবার এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলে ধস নেমেছে। গেল কয়েক বছরের তুলনায় কমেছে পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির সংখ্যা। এ বছর রাজশাহী বোর্ডে এইচএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ১১ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থী। পাসের হার ও জিপিএ-৫ প্রাপ্তির দিক থেকে এবারও ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা ভালো ফল করেছে।
রোববার শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বিকেল ৪টার দিকে গণমাধ্যম কর্মীদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন। এর আগে, বেলা ১১টা থেকে প্রতিষ্ঠানে ফল প্রকাশ করা হয়। গেল বছর রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ছিল ৮১ দশমিক ৬০ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে পাসের হার কমেছে তিন দশমিক ১৪ শতাংশ। গেল বছর জিপিএ-৫ পেয়েছিল ২১ হাজার ৮৫৫ জন শিক্ষার্থী।
এবার পেয়েছে ১১ হাজার ২৫৮ জন শিক্ষার্থী। অর্থাৎ ১০ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী কম জিপিএ-৫ পেয়েছে। গত ২০২১ সালে পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ২৯ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৩২ হাজার ৮০০ জর শিক্ষার্থী। এইচএসসি পরীক্ষার এই পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত তিন বছর ধরে ধারাবহিকভাবেই ফলাফল অবনমন ঘটছে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের।
রাজশাহী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৩৯০ জন পরীক্ষার্থী। এরমধ্যে, সব বিষয়ে পাস করেছে এক লাখ আট হাজার ৫৮০ জন। এইচএসসিতে ছাত্র পাসের হার ৭৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ এবং ছাত্রী পাসের হার ৮৩ দশমিক ৯৭ শতাংশ। মোট জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের মধ্যে পাঁচ হাজার ৪৪৫ জন ছাত্র এবং পাঁচ হাজার ৮১৩ জন ছাত্রী। এক বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৯ হাজার ৭৮০ জন। ২০২২ সালে ছিল ১৭ হাজার ৫৭৯ জন। এ বছর শতভাগ পাস করা কলেজের সংখ্যা রয়েছে মোট ৩৭টি। ২০২২ সালে ছিল ৩১টি।
আশানুরূপ ফলাফল না করার প্রশ্নে রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আরিফুল ইসলাম বলেন, করোনা মহামারীর ধকল কাটতে না কাটতেই দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা দেখা দেয়। এছাড়া এমন নানান কারণে শ্রেণিকক্ষে নিয়মিত পাঠদান, পরীক্ষা নেওয়া এবং সিলেবাস সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি। এ কারণে আশানুরূপ ফলাফল পাওয়া যায়নি। এরপরও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর ফলাফল খারাপের বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখা হবে বলে জানান তিনি।