নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, গতকাল কে কী বলেছে সেসব ভুলে যান। নতুন উদ্দিপনা নিয়ে কাজ করতে হবে। নিজেদের মধ্যে কোন বিভেদ থাকবে না। নৌকা প্রতীক বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, বঙ্গবন্ধু কন্যার প্রতীক। এই প্রতীকের মান রাখা আমাদের প্রত্যেকের দায়িত্ব। আজ থেকে সব ভেদাভেদ ভুলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিটি কর্মীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা থেকে বিমানযোগে রাজশাহী পৌঁছে নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে আসাদুজ্জামান এসব কথা বলেন।

আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের চিঠি নিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীতে আসেন আসাদুজ্জামান। তাঁর আগমনের খবরে বিপুল সংখ্যক নেতা কর্মী বিমানবন্দরে জড়ো হন। তারা ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। এসময় আসাদ বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে পথচলা মানুষ। আগামী ৭ জানুয়ারী পবা-মোহনপুরের নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, কোথাও কেউ কোন ধরনের অশান্তিকর কিছু করবেন না, নির্বাচনী আচরণ বিধি ভাঙবেন না। প্রতিটি কর্মীকে আচরণ বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়ে সকল ধরনের শো-ডাউন করা থেকে বিরত অনুরোধ করেন তিনি।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে এমপি প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার মাধ্যমে আমার রাজনীতি জীবনের পূর্ণতা দিয়েছেন। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে চাই। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে। আমরা সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী, সেই চিন্তা মাথায় রেখেই আগামীতে কাজ করবো।

তিনি আরও বলেন, আপনারা আমরা আওয়ামী লীগ, সবাই মিলেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবো। গতকাল কে কী বলেছে সেসব ভুলে যান। সারাদেশে ৩৭০০ মানুষ মনোনয়ন তুলেছিল, সেখান থেকে ২৯৮ জন মানুষ মনোনয়ন পেয়েছেন। শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমি সারা বাংলাদেশের সেরা ফুলগুলো তুলে নিব।’ তার মানে এই না বাকি ফুলগুলো নষ্ট ফুল।

উপস্থিত জনতার উদ্দেশ্যে আসাদ আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে মনোনয়ন দিয়েছেন। পবা-মোহনপুরবাসীর কাছে আমার দাবি, ভালো মানুষ দেখে আপনারা ভোট দেবেন। সেই ভালো মানুষ যদি আমি হই আমাকে দেবেন। আর আমার চেয়েও যদি যোগ্য কেউ থাকে আপনারা তাকেই ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন, তাতে আমার কোনো আপত্তি নেই।

আপনাদের এটুকু আশ্বাস দিতে চাই, আমি যদি এমপি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে পবা-মোহনপুরে এমপির আওয়ামী লীগ হবে না। এমপি হবে আওয়ামী লীগের। এমপি হবে সকল জনগণের। এই পবা-মোহনপুরের মাটিতে মাদক ব্যবসা বলে কিছু থাকবে না। দল, মত নির্বিশেষে পবা-মোহনবাসীসহ পুরো রাজশাহী জেলার মানুষের জন্য আমার দরজা জন্য অতীতের ন্যায় আগামীতেও খোলা থাকবে বলে আশ্বাস দেন আসাদ। সেইসাথে দলীয় নেতাকর্মীদের নির্বাচনের সবার সাথে সুন্দর ও সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণের আহ্বান জানান তিনি।

বিমানবন্দর থেকে আসাদুজ্জামান পবা উপজেলা পরিষদে যান। সেখানে তিনি পবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন। এসময় স্থানীয় নেতা কর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। পরে তিনি শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামানের মাজারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর তিনি নগর ভবনে গিয়ে মেয়র এইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের সাথে সাক্ষাত করেন। এসময় মেয়র তাঁকে মিষ্টিমুখ করান। নগরভবন থেকে বেরিয়ে আসাদ হযরত শাহমখদুম (র.) এর মাজার মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় শেষে নেতা কর্মীদের সাথে নিয়ে মোনাজাত করেন।