নিজস্ব প্রতিবেদক: সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরীতে জেলা ও মহানগর উভয় পর্যায়ে জয়িতা হয়েছেন তৃতীয় লিঙ্গের মোহনা। এ বিষয়ে মোহনা বলেন, তিনি একজন তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ হওয়ায় পরিবার ও সামজে হেয় প্রতিপন্ন হয়েছেন । পরিবারে তাঁকে নানাভাবে হেনস্তার শিকাড় হতে হয়েছে সে সময়ে। অতিতে তাঁর জীবন ছিলো বিভিষিকাময় ও অনিশ্চিত। তাঁকে অনেক ধরনের কাজ করে জীবন ধারন করতে হয়েছে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। শত লাঞ্ছনা ও গঞ্জনা সহ্য করে তিনি পরিবারেই সাথেই থেকেছেন।
সেখান থেকেই তিনি নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে তৈরী করতে বদ্ধ পরিকর ছিলেন। তাঁর মনোবল ও কর্মশক্তি দিয়ে তিনি যেমন নিজেকে একজন সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলেছেন, তেমনি তাঁর সম্প্রদায়ের জনগণকে মূলস্রোতধারায় নিয়ে যেতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমানে তিনি দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতির দায়িত্ব পালনসহ সরকারী বেসরকারী নানা ধরনের কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন। চলাফেরা করছেন সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে। এ অবস্থায় আসার জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান তিনি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী হিজড়া জনগোষ্ঠীকে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করায় তারা আজ সমাজে স্থান পেয়েছেন। বর্তমানে সময় বদলে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য শনিবার রাজশাহী জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের আয়োজনে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বেগম রোকেয়া দিবস পালিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর। আলোচনা সভা শেষে জেলা পর্যায়ে পাঁচ জন ও সিটি কর্পোরেশন পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ পাঁচ জয়িতার হাতে সম্মাননা পদক তুলে দেওয়া হয়।