নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘সর্বজনীন পেনশন স্কিম’ শীর্ষক এক কর্মশালা সকালে রাজশাহী কারা প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ ও রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে। কর্মশালায় জানানো হয়, সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন-২০২৩ এর আওতায় জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়েছে। ফলে এটি একটি সরকারি বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান এবং সর্বজনীন পেনশন স্কিম কর্মসূচি রাষ্ট্রীয়। সরকার আসবে সরকার যাবে, রাষ্ট্র্রীয় কর্মসূচি অব্যহত থাকবে। সরকার পরিবর্তন হলেও সর্বজনীন পেনশন স্কিম অব্যহত থাকবে বলে জানান অতিথিবৃন্দ।
কর্মশালায় আরো জানানো হয়, এটা রাষ্ট্রীয় গ্যারান্টি যুক্ত স্কীম। তাই এনজিওদের মত টাকা নিয়ে যাবে না। এমনকি জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এ টাকা স্পর্শ করতে পারবে না। বিনিয়োগ করা ছাড়া। এ স্কীমে অন্তর্ভূক্ত হওয়ার পর অসুস্থ হলে এক বছরের একটা গ্রেজ টাইম দেওয়া হবে এবং তার পর স্কিম আবার চালু করতে পারবে। ৬০ বছরের আগে মারা গেলে নমিনি টাকা তুলে নিতে পাবরে বা এটা চালিয়ে নিতে পারবে। এখানে এক স্কিম থেকে অন্য স্কিমে যাওয়ারও সুযোগ রয়েছে। নিজেই সিস্টেমে ঢুকে পরিবর্তণ করা যাবে। জীবন বীমার পেনশন স্কীম নিলেও সর্বজনীন পেনশনে নিবন্ধন করা যাবে।
পেনশন তুলতে হয়রানি হতে হবে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে বলা হয়, এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানে পেনশন তুলতে হয়রানি নেই। আর এটার ক্ষেত্রেতো প্রশ্নই নেই। এটি আইটি বেজড। সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহকের ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে যাবে, কোনো অফিসে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য গোলাম মোস্তফা। কর্মশালায় সূচনা ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
মুখ্যসচিব বলেন, অর্থ বিভাগ অবকাঠামোগত ভাবে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে কিন্তু তার একার পক্ষে এক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব নয়। এটা জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী সকলের সম্মিলিত কাজ। তিনি সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে জনপ্রতিনিধিসহ সকলকে আহবান জানান এবং একই সাথে এবিষয়ে অপপ্রচার প্রতিরোধে এগিয়ে আসতে অনুরোধ করেন।
কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যলয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) আহসান কিবরিয়া সিদ্দিকি, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরী অর্থরিটির এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান ফসিউল্লাহ এবং এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সাইদুর রহমান।