নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার কাঁকনহাট পৌরসভা এলাকায় বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা কাঁকন বহুমূখী উন্নয়ন সংস্থা (কাবিউস) ২০০৯ সালে ৩৬শতক জমি কাঁকন হাটপাড়া এলাকার হেনারা বেগম(৬৫) এর নিকট হতে ক্রয় করেন। যার মৌজা-কাঁকন, জে.এল নং-১৪৮, আর.এস. খতিয়ান নং-১৫, আর.এস দাগ নং- ১০৩৫, পরিমান-৩৬ শতক, রকম- ভিটা। জমি ক্রয় করার পরে নিয়ম মাফিক সংস্থার নামে খারিজ করেন এবং নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন বলে অত্র সংস্থার সহকারী পরিচালক দেলোয়ার হোসেন রিপন জানান। তিনি বলেন, জমি ক্রয় করার পরে সেখানে বাউন্ডারী ওয়াল দেন। সেইসাথে বিভিন্ন ধরনের গাছ রোপন এবং পানির পাম্প স্থাপন করেন।
তিনি আরো বলেন, সেখানে একটি ছোট ঘরও রয়েছে। এখন মাত্র দুই কাঠা জায়গার উপরে একটি অফিস ঘর করতে গেলে কাঁকনহাট দরগাপাড়ার বাবুর আলীর ছেলে আজিম উদ্দিন বাধা প্রদান করেন এবং তাদের নামে রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় তিনিসহ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মধু সুদন মৈত্রকে জড়িয়ে দেন। অথচ এই জমির সাথে আজিম উদ্দিনের দীর্ঘ ৫০ বছরের অধিকাল ধরে কোন সম্পর্ক নাই। এস.এ এবং আর.এস খতিয়ানেও তার কোন নাম নেই। একমাত্র তাদেরকে হয়রানী করার জন্যই তিনি এই মামলা দায়ের করেছেন। আর এর সাথে জড়িত রয়েছে বানেশ^র নিবাসী আজিম উদ্দিন এর জামাই মাদক কারবারী আলম। মূলত তারই প্ররোচনায় তাদেও হয়রানী করছে বলে উল্লেখ করেন রিপন।
সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মধু সুদন মৈত্র বলেন, তিনি একজন নিরভেজাল মানুষ। ঐ সম্পত্তি ২০০৯সালে হেনারা বেগমের নিকট হতে সংস্থার নামে ক্রয় করে দেন। এরপরে খাজনা-কারিজ করে নিয়মিত খাজনা পরিশোধ করে আসছেন। উক্ত জমির হালসন নাগাদ খাজনা পরিশোধ করা রয়েছে। এই হয়রানীর প্রতিবাদে তাঁর সংস্থার এক কর্মকর্তা আজিম উদ্দিন এর নামে মামলাও করেছেন। তিনি এই ধরনের চতুর হয়রানীকারী ব্যক্তিকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী করেন।
এ বিষয়ে জানতে আজিম উদ্দিনকে মোবাইলে কল করলে তিনি বলেন, ঐ জমি তাদের নামে রেকর্ড হয়েছে। এতদিন পরে কেন মামলা করলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে তার নিকট কোন কাগজ ছিলোনা। এখন তিনি কাগজ পেয়েছেন। এজন্য তিনি মামলা করেছেন।