রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৪ পূর্বাহ্ন

নাটোরে বিএনপির কর্মসূচীতে যুবলীগের হামলা, কেন্দ্রীয় নেতাসহ আহত ৬

  • প্রকাশ সময় বুধবার, ৩ জুলাই, ২০২৪
  • ৩০ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : নাটোরে বিএনপির কর্মসুচীতে যুবলীগের হামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, ও জেলা বিএনপির আহবায়ক শহীদুল ইসলাম বাচ্চুসহ ৬ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সকালে শহরের আলাইপুরস্থ জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে এই হমলার ঘটনা ঘটেছে।

জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফরহাদ আলী দেওয়ান শাহিন অভিযোগ করে বলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে আয়োজিত সমাবেশে যুবলীগ কর্মী রাসেদুল ইসলাম কোয়েলের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ জন যুবলীগ কর্মী এ হামলা চালায়।

তারা বিএনপি অফিসের সমাবেশ লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপসহ গুলিবর্ষণ করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এই হামলায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের (রাসিক) সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, নাটোর শহর স্বেচ্ছাসেবক দলের সম্পাদক সাব্বির হোসেন চপল, নাটোর জেলা শ্রমিক দলের দপ্তর সম্পাদক রফিকুল ইসলাম ৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিটলুসহ ৬ জন আহত হয়।

এর আগে কর্মসুচীতে আসার সময় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে লাঠিচার্জ করে তাদের হটিয়ে দেয় এবং আহত বাচ্চুকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। দলীয় সূত্রে জানা যায় শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর অবস্থা ভাল নয়। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত ঢাকায় পাঠানো হবে। কারণ তার ব্যপক রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে জানান তিনি।

দেওয়ান শাহিন আরো বলেন, আওয়ামী লীগের এই কোয়েল বাহিনী ইতিপূর্বেও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাচ্চু, সদস্য সচিব রহিম নেওয়াজ, উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন ও আমিসহ অন্তত ২০ নেতা কর্মীর ওপর হামলা চালায়।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান বলেন, বিরোধী দলের কর্মসুচীর বিপরীতে আওয়ামী লীগের কোনো শান্তি সমাবেশ বা কোনো ধরনের কর্মসুচী ছিলনা। যারা এই হমলার ঘটনা ঘটিয়েছে তারা যুবলীগেরও কেউ নন।

সম্প্রতি তারা বিএনপি থেকে এসেছে স্থানীয় এমপির মাধ্যমে। এরা অতি উৎসাহী হয়ে নিজেদের খাঁটি আওয়ামী লীগ হিসেবে প্রমাণ করতে মাঠে নেমেছে। পুলিশ কেন এদের দমন করতে পারছেনা তিনি বলে প্রশ্ন তুলে বলেন, ঘটনার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে।

জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক বাশিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া বলেন, কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের বিষয়ে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। প্রমাণ মিললে দলীয়সহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম বলেন, বিএনপির সমাবেশ এলাকায় আগে থেকেই পুলিশ মোতায়েন ছিল। কর্মসূচীর স্থলে আসার পথে বিএনপির নেতা কমীদের ওপর এসব হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ তিনজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। গুলি বা ককটেল বিস্ফোরনের কোন ঘটনা জানা নেই। এমন ঘটনার কোন সত্যতাও পাওয়া যায়নি। ঘটনাস্থল এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে জড়িতদের সনাক্ত করার কাজ করছে পুলিশ।

তাদের সনাক্ত করা গেলে পুলিশ গ্রেপ্তার অভিযান চালাবে। তবে ভুক্তভোগী বা বিএনপির পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরো নিউজ দেখুন
© All rights reserved © 2021 dailysuprovatrajshahi.com
Developed by: MUN IT-01737779710
Tuhin