নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ১৬ জুলাই রাজশাহী বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। এনিয়ে রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় হলরুমে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের আয়োজনে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” কার্যক্রমের আওতায় বিভাগীয় পর্যায়ে জয়িতা নির্বাচন ও সংবর্ধনা প্রদান সম্পর্কিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার(সার্বিক) তরফদার মোঃ আক্তার জামিল। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর রাজশাহীর উপপরিচালক শবনম শিরিনসহ বিভাগীয় কার্যালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ।
তিনি উল্লেখ করেন দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিভিন্ন ক্ষেত্রে তৃণমূলের সংগ্রামী নারীদেরকে আত্ম:শক্তিতে উজ্জীবিত ও অনুপ্রাণিত করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়াধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ লক্ষে গঠিত কমিটির মাধ্যমে অনুসন্ধান করে তাদের স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান, আত্মপ্রত্যয়ী নারীদেরকে অনুপ্রাণিত করা, সমগ্র সমাজ নারীবান্ধব করা এবং জেন্ডারভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে। সংগ্রামী এ সকল সফল নারীদের প্রতীকি নাম জয়িতা।
“জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় ২০১৩-২০১৪ অর্থ বছর থেকে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে সংগ্রামী নারীদের নির্বাচন করা হচ্ছে। “জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ” কার্যক্রম পরিচালনা নীতিমালার আলোকে ৫টি ক্যাটাগরিতে যেমন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী, শিক্ষা ও চাকুরীর ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী নারী, , সফল জননী নারী, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে নারী ও সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী নির্বাচন করে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে মোট চল্লিশজন জয়িতা নির্বাচন করা হয়। এর মধ্যে দশজনকে বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত করা হয়েছে। এখান থেকে আবার জাতীয় পর্যায়ে মূল্যায়নের জন্য চুড়ান্তভাবে পাঁচজনকে নির্বাচিত করেছেন জয়িতা নির্বাচক কমিটি। নির্বাচিত সকল জয়িতাকে আগামী মঙ্গলবার সংবর্ধিত করা হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত ৫ জন জয়িতাকে সনদ, ক্রেস্ট ও উত্তরীয়সহ সম্মানি বাবদ ২৫,০০০/- (পঁচিশ হাজার) টাকা প্রদান করা হবে। অবশিষ্ট ৩৫ জন জয়িতাকে সনদ ও ক্রেস্টসহ সম্মানি বাবদ ৫,০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা প্রদান করা হবে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়। আগামীতে জয়িতা অন্বেষণে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
বিভাগীয় পর্যায়ে চুড়ান্তভাবে নির্বাচিত দশজন জয়িতা হলেন, অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী হলেন জয়পুর হাট জেলার সাহেব পাড়া গ্রামের পিতা তোফাজ্জল মন্ডল, মাতা- আছিয়া বেওয়ার কন্যা হাছনা বেগম ও রাজশাহী মহানগরের বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত ছোট বনগ্রাম এলাকার হাবিবুর রহমান ও ফিরোজা বেগমের কন্যা সোনিয়া খাতুন, শিক্ষা ও চাকুরী ক্ষেত্রে সাফল্য অজর্নকারী নারী ক্যাটাগরীতে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার জাহাঙ্গীর হোসেন ও সাবিয়া বেগমের কন্যা শিউলী আক্তার ও বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার জোরগাছা গ্রামের এবারত আলী ও মাজেদা খাতুন এর কন্যা তাছলিমা, সফল জননী নারী ক্যাটাগরিতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার দাউদ হোসেন ও জোসনা বেগমের কন্যা গোলসানারা বেগম ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার ময়েজ উদ্দিন ও তফিজন বেগমের কন্যা ফরিদা বেগম।
এছাড়াও নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবনশুরু করেছেন যে নারী ক্যাটাগরিতে রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার সপুরা এলাকার বাবুল ও রহিমা খাতুনের কন্যা মর্জিনা ও জয়পুরহাট জেলার পাঁচবিবি উপজেলার আব্দুল ওহাব ও সাহিদা বিবির কন্যা পরিনা, সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে নারী ক্যাটাগরীতে রাজশাহী জেলার বোয়ালিয়া থানার ছোট বনগ্রাম উত্তরপাড়া মহল্লার শেখ গোলাম মোস্তফা ও রানু বিবির সন্তান মুহিন (মোহনা) ও জয়পুরহাট জেলার জয়পুরহাট সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর গ্রামের ইসমাইল ফকির ও আছিয়া বিবির কন্যা আছমা বিবি।