নিজস্ব প্রতিবেদক: সকল ধরনের কোটা সংস্কার কিংবা কোটা বাতিলের দাবী সারা চলছে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন। এই আন্দোলন করতে যেয়ে ইতোমধ্যে ছয়জন শিক্ষার্থী তাদের তাজারক্ত মাটিতে ঢেলে দিয়ে শহীদ হয়েছেন। পুলিশের গুলিতে ও ছাত্রলীগের হামলায় তারা শীহদ হন। এই নিঃশংস হত্যার প্রতিবাদ এবং বৈষম্যমূলক কোটাব্যবস্থার সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রীর হিংসাত্বক কটুক্তি এবং সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের পরিকল্পিত হামলার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল করেন ছাত্রদল নেতৃবৃন্দরা।
রাজশাহী জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের আয়োজনে মিছিলে নেতৃত্ব দেন রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শামীম সরকার, মহানগরের সাধারণ সম্পাদক খন্দকার মাকসুদুর রহমান সৌরভ ও জেলা ছাত্রদলের সদস্য সচিব আলামিন। এছাড়াও জেলা ও মহানগরের প্রায় এক হাজার নেতাকর্মী মিছিলে অংশ নেন।
আকবর আলী জ্যাকি ও শামীম সরকার জানান তারা নেতাকর্মী নিয়ে রাজশাহী মহিলা কলেজের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে সোনাদিঘি মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ তাদের বাধা প্রদান ও নেতাকর্মীদের হামলা করে। এসময়ে নেতাকর্মীরা পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট হয়ে ঘুরে পার্টি অফিসের সামনে আসলে পুলিশ জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, মোহনপুরের ছাত্রনেতা মিনহাজ ও বাগমারার ছাত্রনেতা রাকিবসহ মোট পাঁচজনকে আটক করে বোয়ালিয়া মডেল থানার পুলিশ।
নেতাকর্মীদের আটকের বিষয়টি স্বীকার করে বোয়ালিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই ইফতেখারুল আলম বলেন, মোট পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। কি কারনে আটক করা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশের কাজে বাধা, পুলিশের গায়ে হাত তোলা ও বিস্ফোরক মামলা করা হয়েছে। তবে ঐ পাঁচজন ছাড়া আরো কত জনের নামে এই মামলা হয়েছে তিনি তা জানেন না বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।