নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপি’র শুক্রবার সারাদেশ ব্যাপি বিক্ষোভ সমাবেশেল ডাক দেয়। কেন্দ্র থেকে এই ঘোষনা দেয়া হয়। সারাদেশব্যাপি আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নৈরাজ্য, সরকারী দলীয় নেতাকর্মী এবং পুলিশের হামলায় প্রায় শতাধীক সাধারণ ছাত্র নিহত হওয়ার প্রতিবাদ এবং এই সরকারের পদত্যাগের দাবীতে সারাদেশের ন্যায় রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশের আয়োজন করা হয়।
এ উপলক্ষে শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে নেতাকর্মীরা নগরীর মালোপাড়াস্থ বিএনপি দলীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল পূর্ব সমাবেশ শুরু করার কিছুক্ষণের মধ্যে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সাহেববাজার স্বর্ণপট্টির সামনে দিয়ে প্রবেশ করে বিএনপি পার্টি অফিসের সামনে অবস্থানরত নেতাকর্মীদের উপরে ইট, পাটকেট, গুলি ও ককটেল ছুড়ে আতঙ্কের সৃষ্টি করে। সেইসাথে চেয়ার ও মাইক্রোফোন ভাঙ্গচুরসহ পার্টি অফিসের ককটেল ও ইট ছুড়ে তারা।
শুধু তাই নয় কার্যালয়ের দুইটি কক্ষে থাকা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবি, আলমারী, চেয়ার-টেবিল, টিভি, জানালা, কিচেন রুম ও হোটেলে গেটসহ সব কিছু ভেঙ্গে তছনছ করে দেয় তারা। এমনটাই বলছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা। এছাড়াও সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে এমনটাই দেখা যায়।
তিনি আরো বলেন, উপস্থিত বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা প্রথমে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করলেও পরে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ এ সময়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেন। সেইসাথে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তান্ডব লীলা দেখেন। সব শেষ করে দেয়ার পরে পুলিশ এসে তাদের চলে যেতে অনুরোধ অনুরোধ করেন। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা চলে গেলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পরে পুলিশ অফিস কক্ষ পরিদর্শন করেন।
তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি সাপেক্ষে নেতাকর্মী নিয়ে তারা শান্তিপূর্নভাবে মিছিল পূর্ব সমাবেশ করছিলেন। হঠাৎ করে আওয়ামীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সন্ত্রাসীরা দেশীয় ও আগ্নেয় অস্ত্র নিয়ে তাদের পরে হামলা করে। সেইসাথে ককটেল ও গুলি ছোড়ে তারা। এ অবস্থায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যাওয়ার সময় অনেকে আহত হয়েছেন। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের এমন আচরণ ও পুলিশের নিস্কৃয়তায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। সেইসাথে দোষি ব্যক্তিদের শাস্তির দাবী জানান ঈশা।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম শাফিক, বজলুল হক মন্টু, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক শফিকুল আলম সমাপ্ত ও মহানগর তাঁতী দলের সাবেক আহ্বায়ক আরিফুল শেখ বনিসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন মহানগর ও ওয়ার্ড কমিটির অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।