নিজস্ব প্রতিবেদক: কারফিউ সিথিল ও নির্বাহী আদেশে টানা তিনদিনের ছুটি শেষে রাজশাহী ফিরেছে চিরচেনা রুপে। খুলেছে প্রতিটি মার্কেট ও দোকানপাট। সেইসাথে ফুটপাতে বসেছে দোকান। বেড়েছে মানুষের ভীড়। বেলা ১২টার দিকে সাহেব বাজারে গেলে অটোরিক্সা ও রিক্সার যানজোট দেখা যায়। দোকানদারদের হাক-ডাক শুনতে পাওয়া যায়। একদিকে ছাত্র আন্দোলন, অন্যদিকে কারফিউ এবং ছুটির কারনে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছিলো। বুধবার বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাদে সকল অফিস আদালত খুলে দেয়ায় জনগণ রাস্তায় নেমে আসে। বিশেষ করে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংকে প্রচন্ড ভীর দেখা যায়।
ব্যাংকে কেউ আসছেন বিদ্যুৎ বিল, গ্যাসের বিল ও পানির বিল দিতে। আবার কেউ আসছেন জমানো বা ব্যবসার গচ্ছিত টাকা জমা দিতে। আবার কেউ আসছেন টাকা উত্তোলন করতে। রাজশাহী প্রায় প্রতিটি ব্যাংকের একই অবস্থা পরিলক্ষিত হয়। নগরীর একটি ব্যাংকে টাকা উত্তোলন ও জমা দিতে আসা একাধিক ব্যক্তি বলেন, ছাত্র আন্দোলন থেকে তারা ভয়ে ব্যাংকে আসতে পারেননি। এরপর পুরো দেশব্যাপি ইন্টারনেট বন্ধ থাকা এবং টানা তিনদিনের ছুটি থাকায় তাদের ব্যবসার অনেক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়াও টাকা উত্তোলন করতে না পেরে প্রয়োজনীয় অনেক কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো। অতি প্রয়োজনে অন্যের নিকট ধার করতেও হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। ভবিষ্যতে এ ধরনের অবস্থা তৈরী হলে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য সরকার ও অত্র আর্ধিক প্রতিষ্ঠান সমুহের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করেন তারা।
শুধু তাই নয় কোটা আন্দোলন, দেশ ব্যাপি সহিংসতা ও ছুটির কারনে অনেক ব্যক্তি বিভিন্ন শহরে আটকে পরেন। এরমধ্যে আবু বককার সিদ্দিক বলেন, তিনি রাজশাহীতে ছেলের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। এসে আটকে যান। বুধবার তিনি নিজ গ্রামে ফেরত গেছেন। মোহাম্মদ আলী নামে আরেকজন বলেন, তিনি নারায়নগঞ্জে ছেলের বাসায় বেড়াতে গিয়ে আটকে গেছেন। তিনিও বুধবার বাস যোগে নিজ বাড়িতে ফেরেন বলে উল্লেখ করেন। এমন অবস্থা লক্ষ লক্ষ মানুষের বলে তারা উভয়ে দাবীঅ করেন।
এদিকে রাজশাহী সাহেব বাজার এলাকায় ব্যবসায়ীরা বলেন, বেশ কয়েকদিন পরে তারা দোকানপাট খুলেছেন। কিন্তু ক্রেতা তেমন নেই। অনকটাই অলস সময় তারা পার করেন। আজ থেকে হয়ত ক্রেতা বাড়তে পারে বলে জানান তারা। এদিকে শহরে বাজার করতে আসা পবার বায়া এলাকার আনিসুর রহমান, খরখড়ি এলাকার আব্দুস সালাম, কাঁটাখালী এলাকার নিয়ামত আলীসহ নগরীর একাধিক ব্যক্তি বলেন, বেশ কয়েকদিন পরে প্রাণ ভরে নিঃশ^াস নিতে পারছেন। নিরাপদে তারা বাজার করতে পারছেন। এমনটাই তারা সারা বছর আসা করেন বলে জানান।