এস.আর.ডেস্ক: না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ। দেশে নয়, দূর যুক্তরাষ্ট্রে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন পার্থিব ব্যান্ডের প্রধান রুমন। রুমন বলেন, ‘তিনি খবরটি পেয়ে শাফিন এর ব্যান্ড মেট রাইসুল ইসলাম রিমনের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন শাফিন আর নেই। রিমন জানান, শাফিন ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে গত দু’দিন লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। সেখান থেকে আর ফেরানো গেলো না তাঁকে।’
তিনি জানান, বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকাল ৬.৫০ টার দিকে শাফিন আহমেদ মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে আরও বিস্তারিত জানতে শাফিন আহমেদের বড় ভাই ‘মাইলস’ প্রধান হামিন আহমেদকে ফোন করলেও সাড়া মেলেনি।
শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। মা কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী ফিরোজা বেগম এবং বাবা সংগীতঙ্গ কমল দাশগুপ্ত। এই পরিবারে জন্ম নেওয়ার কারণে ছোটবেলা থেকেই শাফিন আহমেদ গানের ভেতরেই বড় হন। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গ সংগীত শিখেছেন আর মায়ের কাছে শিখেছেন নজরুল গীতি।
এরপর বড়ভাই হামিন আহমেদসহ যুক্তরাজ্যে পড়াশোনার সুবাদে পাশ্চাত্য সংগীতের সংস্পর্শে এসে ব্যান্ডসংগীত শুরু করেন। দেশে ফিরে গড়ে তোলেন মাইলস। যা দেশের শীর্ষ ব্যান্ডের একটি এখনও। এই ব্যান্ডের ৯০ ভাগ গান শাফিন আহমেদের কণ্ঠে সৃষ্টি হয়েছে। পেয়েছে তুমুল জনপ্রিয়তা। তিনি কণ্ঠের পাশাপাশি ব্যান্ডটির বেজ গিটারও বাজাতেন।
তবে বড় ভাই হামিন আহমেদের সঙ্গে দীর্ঘ বিবাদের জেরে গেল ক’বছর তিনি মাইলস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল গড়ে তোলেন। শাফিন আহমেদের কণ্ঠে তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে চাঁদ তারা সূর্য, জ্বালা জ্বালা, ফিরিয়ে দাও, ফিরে এলে না, আজ জন্মদিন তোমার প্রভৃতি।
শাফিন আহমেদের স্মৃতিকথা নিয়ে ‘পথিকার’ নামের একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এটি লিখেছেন সাজ্জাদ হুসাইন। গানের বাইরে টেলিভিশনের জন্য দুটি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া রাজনীতিতে এসে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েও আলোচনা সৃষ্টি করেন।