এস.আর. ডেস্ক: কোটা সংস্কার আন্দোলনে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান ও সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাত ১টার দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) বিকালে বিএনপির মহাসচিব জানান, আন্দালিব পার্থ ছাড়াও বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, নির্বাহী কমিটির সদস্য তারিকুল ইসলাম তেনজিং এবং বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর ছেলে (যিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন) সানিয়াত-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া বুধবার রাতে স্বেচ্ছাসেবক দলের ঢাকা মহানগরের দক্ষিণ সাধারণ সম্পাদক সাদ মোরশেদকেও আটক করা হয়েছে বলে জানান ফখরুল।
গোয়েন্দাসূত্র জানায়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আন্দালিব রহমানের কিছু যোগাযোগ নিয়ে তারা তদন্ত করছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে তোলার কথা পার্থকে।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং উদোরপিন্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার কিংবা নেতাকর্মীদের বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেফতার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাংচুর করা হচ্ছে।’
‘আন্দোলনে ভূমিকা রাখার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার এবং আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদের ঘটনাস্থল থেকে গ্রেফতার করা হয়নি কেন? এটাই জনগণের প্রশ্ন।’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত নয়।’