নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ দ্বিতীয়বারের মত স্বাধীন হয়েছে। কোটা সংস্কারকারী শিক্ষার্থীরা সমরকার পতনের একদফা ডাক দিলে সে আন্দোলনে দেশের আপামর জনসাধারণ অংশগ্রহন করেন। এই আন্দোলনে দমন নিপিড়ন ও হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে শেষ রক্ষা হয়নি স্বৈরাচার হাসিনার। তিনি হাজার হাজার শিক্ষার্থী ও জনগণের রক্ত খেয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন গত ৫ আগস্ট সোমবার। সেদিন বিক্ষুদ্ধজনতা আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর ও তাদের দলীয় কার্যালয় এবং নগরীর বিভিন্ন থানা ও সদর দপ্তর ভাঙ্গচুর ও আগুন দেয়। সেইসাথে আগুন দেয় বিভিন্ন যানবাহন। ভেঙ্গে দেয় ফুল ও বিভিন্ন ধরনের গাছের টব ও গাছ।
সামাজিক সংগঠন সেভ দি ন্যাচার এন্ড লাইফ ও রোটারী ক্লাব অফ রাজশাহী সেন্ট্রাল আয়োজনে শুক্রবার আরএমপি সদর দপ্তরের টবে ও বিভিন্ন স্থানে হরেক রকমের গাছের চারা রোপন করেন। কোটা বৈষম্য আন্দোলনের সমন্বয়কারী ফরহাত ও জুলফিকার এর নেতৃত্বে এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন সেভ দি ন্যাচার এন্ড লাইফ এর চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ইউসুফি ও রোটারিয়ান তাহমিনা শামিম তাসুসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীবৃন্দ।
এ সময়ে মিজানুর রহমান ও সমন্বয়কগণ বলেন, বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁরা কাজ শুরু করেছেন। প্রতিটি স্থাপনার ও নগরীর বিভিন্ন পতিত স্থানে গাছের চারা রোপন করা হবে। নগরীকে শীতল ও সুন্দর পরিবেশ বান্ধব করে গড়ে তুলতে তাদের এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তাঁরা।