নিজস্ব প্রতিবেদক: ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে ব্যবসায়ী, ভোক্তা ও ছাত্রদের সচেতনতামূলক সম্প্রীতির সভা অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি সম্মেলণ কক্ষে বেলা ১১টায় আয়োজিত সভায় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহীর সভাপতি কাজী গিয়াস। বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ, রাজশাহী বিভাগীয় উপপরিচালক ইব্রাহিম হোসেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি মাসুদুর রহমান রিংকু, সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ, রাজশাহী উইমেন চেমম্বার এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সভাপতি রোজেটি নাজনীন, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান ও ড. অক্ষয় কুমার।
রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি ও কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) রাজশাহীর আয়োজনে এবং ক্যাব রাজশাহীর সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মামুন এর সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি রাজশাহী জেলা শাখার সভাপতি গোলাম সারওয়ার স্বপন, ক্যাব রাজশাহী জেলা শাখার সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান, শিক্ষার্থী আব্দুল গাফ্ফার, রাকিবুজ্জামান, নুসরাত জাহান নিমো, নাদিম শেখ, সম্রাট হাসান ও সুমাইয়া আকতারসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, সাংবাদিক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সভায় উপস্থিত অংশগ্রহনকারী ও ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যা ও সিমাবদ্ধতার কথা তুলে ধরেন। তারা বলেন, তারা নির্বিঘ্নে নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে চান। কিন্তু তা তারা করতে পারছেন না। একদিকে চাঁদাবাজী, অন্যদিকে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা। তাদের দৌরাত্বে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা শান্তিতে নাই। এ বিষয় এবং জরিমানার বিষয়টি দেখার জন্য ভোক্তা অধিকার ও ক্যাবকে অনুরোধ করেন।
অতিথিবৃন্দ বলেন, ভোক্তা অধিকার ও ক্যাব ও দোকানীরা সঠিক নিয়মে পন্য বিক্রি করছে কিনা, বেশী দামে পন্য বিক্রি করছে কিনা, দোকানে এক্সপায়ার ডেট এর পন্য আছে কিনা, অবৈধ মজুদ আছে কিনা, বিএসটিআই এর অনুমোদন আছে কিনা তা সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করে। সেইসাথে অনেক সময় ব্যবসায়ীদের জরিমানা করে থাকে। শুধুি জরিমানা নয় সতর্ক করেও মাফ করে দেন তারা। তারা আরো বলেন, এখন পরিবর্তিত সময় চলছে। কেউ চাঁদা চাইতে গেলে শিক্ষার্থী কিংবা প্রশাসনকে জানানোর কথা বলেন। সেইসাথে অবৈধ মজুদ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তারা।
তাঁরা আরো বলেন, বহু রক্তের বিনিময়ে এই দেশ নতুন করে স্বাধীন হয়েছে। এখন কেউ সিন্ডিকেটের কথা চিন্তাও করবেন না। সেইসাথে প্রতিটি দোকানে প্রতিদিনের পন্যের মূল্য তালিকা রাখার জন্য বলেন তারা। এছাড়াও অযাচিত মুনাফা লাভের আশা পরিহার করার আহ্বান জানান তারা।