নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী বাকশালীদের আর এদেশে ঠাঁই দেয়া হবেনা। কারণ বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার দেশকে ধ্বংস করে দিয়ে পালিয়ে গেছে। ১৫ আগস্ট নিয়ে আওয়ামী সরকার হাজার হাজার কোটি টাাক ব্যয় করে শোক দবিস পালন করতো। বৃহস্পতিবার সকালে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে রাজশাহী মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে রাজশাহী মহানগরের বাটার মোড়ে দুইদিনব্যাপি অবস্থান কর্মসূচী শেষ দিনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহীন শওকত এই কথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, হাসিনা নিজেকে বিধাতা মনে করা শুরু করেছিলেন। বিএনপিকে এদেশে থাকতে দেবেনা বলে সর্বদা হুমকি দিতেন। কিন্তু তিনিই আজ দেশ ছেড়ে পালিয়ে প্রান বাঁচিয়েছে। তিনি ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। যাওয়ার পূর্বে পনের বছরে হাজার হাজার মানুষেল রক্ষ খেয়েছে। হাজার হাজার মানুষকে গুম করেছে। তাঁর পুলিশলীগ ও তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে বাংলাদেশেল মানুষের মুখ বন্ধ করে দিয়েছো। শেক হাসিনা তার বাবার পথ অনুসরণ করে দেশে গণতন্ত্র ধ্বংস করে ফেলেছে। শুদু তাইনয় অর্থিৈনতভাবে দেশকে পঙ্গু করে পালিয়ে গেছে।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, ভারতে পালিয়ে গিয়ে সেখান থেকেই ষড়যন্ত্র করছে। ফ্যাসিস্ট এর ছেলে কুলাঙ্গিার জয় বলছে বাংলাদেশে কবে নির্বাচন হবে তা দিল্লি নির্ধারণ করবে। নির্লজ্জ বেহায়া জয় ও তার মাকে দেশে ফিরিয়ে এন ফাঁসির কাস্টে ঝোলানো হবে। তিনি আরো বলেন, দরবেশ বাবা নামে ক্ষ্যাত হাসিনার উপদেষ্টা নিজের অস্তিত্বকে বিলিন কওে বিদেশে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন । কিন্তু বেসরসিক বিজিবি তাকে আটক করেছে। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের কোন নেতাকর্মীই বাহিরে থাকতে পারবেনা। হত্যার জন্য সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এজন্য সবাইকে রাজপথে থাকা এবং ঐ সকল চিন্থিত ব্যক্তিদের ধরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। সেইসাথে ১৫ আগস্টকে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস বলে পালন করার কথা বলেন।
কর্মসূচীতে সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশিষ রায় মধু, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা, সদস্য সচিব মামুন অর রশিদ মামুন, যুগ্ম আহ্বায়ক আসলাম সরকার, ওয়ালিউল হক রানা, শফিকুল ইসলাম শাফিক, জয়নাল আবেদীন শিবলী ও বজলুল হক মন্টু, জেলা বিএনপি’র সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন ও শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি,ও সাবেক সভাপতি মনিরুজ্জামান শরীফ, মহানগর বিএনপি’র সদস্য বিপুল, টনি, আলাউদ্দিন ও নান্নু।
আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, রাজশাহী মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলু, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান লিটন, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক ও সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সাবেক আহ্বায়ক আল আমিন সরকার টিটু ও মহানগর কৃষক দলের আহ্বায়ক শরফুজ্জামান শামীম, সদস্য সচিব আশরাফ আলী ও মহানগর তাঁতী দলের সাবেক সভাপতি ও মহানগর বিএনপি’র সদস্য আরিফুল শেখ বনি।
এছাড়াও মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপিকা সকিনা খাতুন, সহ-সভাপতি মনোয়ারা, জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা রোমেনা হোসেন, মহানগর মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জরিনা, আসমাইল হুসনা, গুলসান আরা মমতা, রাজশাহী মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আকবর আলী জ্যাকি, সাধারণ সম্পাদক মাকসুদুর রহমান সৌরভসহ মহানগর বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন।