নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগি সংগঠন নামে কোন দল ছিলো মানুষ অল্প কিছু দিনের মধ্যে ভূলে যাবে। কারণ এই দলের প্রধান পালিয়ে গিয়ে দলটাকে চিরতরে মাটির গভীরে পুঁতে রেখে গেছে। এখন আর কেউ আওয়ামী লীগের আ কথাটি উচ্চারণ করার সাহস দেখাবে না। আ বললেই সাধারণ মানুষ ঐ ব্যক্তিকে পিটানো শুরু করবে।
কারন আওয়ামী লীগ পনের বছরে যে ভাবে বাংলাদেশের মানুষকে নির্যাতন, অত্যাচার, খুন, গুম করেছে এবং সকল মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ করেছে, দেশের অর্থ বিদেশে পাচার করে বেগম পাড়া গড়ে তুলেছে এবং দেশে মেগা প্রকল্পের নামে যে ভাবে অর্থ লোপাট করেছে বিগত কোন সরকার তা করেনি। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্নবাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথা গুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, শুধু অর্থই নয় এই আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধান ফ্যাসিস্ট হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর থেকে মানুষের রক্ত খাওয়া শুরু করেছে। সর্বশেষ কোটা বৈষম্য আন্দোলনে শিক্ষার্থী ও জনতার রক্ত খেয়ে দেশ থেকে পালিয়েছে। কিন্তু পালিয়ে কোন লাভ হবেনা। স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় আনা হবে। এ প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন থানায় হাসিনা ও তার দোসরদের নামে মামলা শুরু হয়েছে। অনেক প্রভাবশালী নেতা আটক হয়ে এখন রিমান্ডে রয়েছে। রিমান্ড ও আদালতে যাতায়াত কেমন লাগে টের পাওয়া শুরু করেছে তারা। আসছে দিনে আরো টের পাবে বলে জানান তিনি।
মিলন আরো বলেন, ১৫ আগস্ট গণতন্ত্রের মা, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদার জন্মদিন। কিন্তু সাবেক আওয়ামী লীগ তা পালন করতে দেয়নি। তাদের মতে এ দিনে পৃথিবীতে কেউ জন্ম নেয়নি। শেখ মুজিবুরের মত সবাই হত্যা হয়েছে। এদিন শুধু জনগণ শোক দিবস পালন করবে। কেউ জন্মদিন বা বিবাহ বার্ষিকী পালন করবেনা। হাসিনা মনে করেছিলো দেশটা তার বাপের। কিন্তু বাপের উপরে যে আরো বাপ আছে ছাত্র-জনতা দেখিয়ে দিয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করেছে। এই স্বাধীন দেশে কোন ফ্যাসিস্ট, বাকশালী, লুটেরা ও হত্যাকারী ঠাঁই হবেনা উল্লেখ করে বেগম জিয়ার জন্মদিন পালন ও এবং পুরো আগস্ট মাসকে আনন্দের মাস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ছাত্র-জনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনাসহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে বিএনপি’র উদ্যোগে এবং কাঁটাখালী পৌরসভা, হরিয়ান ইউনিয়নের তেতুলতলা, আশরাফের মোড়, খড়খরী বাইপাস মোড়, কাশিয়াডাঙ্গা মোড়, নওহাটা, দারুশা, দর্শনপাড়া ইউনিয়নের মড়মরিয়া হাট, মোহনপুর ও কেশরহাটে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের আয়োজনে অবস্থান কর্মসূচীতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তিনি।
বিভিন্ন স্থানের অবস্থান কর্মসূচীতে স্বা স্ব পৌরসভা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদক, আহ্বায়ক, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক, সদস্য সচিব ও যুগ্ম আহ্বায়কগসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। নেতাকর্মীরা এ সময়ে খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে নানা ধরনের স্লোগান দেন এবং হাসিনাসহ তার সকল দোসরদের দেশে ফিরিয়ে আনার দাবী জানান তারা।