নিজস্ব প্রতিবেদক: জাতীয় শোক দিবসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে রাজশাহী দখলে রেখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। ‘ফ্যাসিবাদের কবর রচনা ও বাংলার ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়ের বিরুদ্ধে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক সব ধরনের ষড়যন্ত্র’ রুখে দেওয়ার আহ্বানে রাজশাহীতে এই সমাবেশ করা হয়। বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্ট উপলক্ষে রাজশাহীর কোথাও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়নি। ছাত্র-জনতার ভয়ে এমন সাহস দেখায়নি। অথচ এই দিনটি শত শত কোটি টাকা খরচ করে আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে এবং সরকারীভাবে অনেক ঘটা করে করা হতো।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাজশাহীর বিভিন্ন স্থানে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভেঙে ফেলা হয়। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ও। সেই থেকে দলটির সখল পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা রয়েছেন আত্মগোপনে।
এদিকে শোক দিবসে আওয়ামী লীগ মাঠে নামতে পারে, এমন গুঞ্জন থেকে আগের দিন বৃহস্পতিবারের কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী। সে অনুযায়ী বেলা ১১টা থেকে নগরীর তালাইমারী, রেলগেট ও সিঅ্যান্ডবি মোড়ে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে সবাই সাহেববাজার জিরো পয়েন্ট বড় মসজিদের সামনে সমাবেশ করেন। দুপুর পর্যন্ত চলা সমাবেশ থেকে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেওয়া হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বাংলার রাজপথ থেকে ছাত্র-জনতার রক্তের দাগ এখনো শুকায়নি। আর কখনো স্বৈরাচারী শাসনের উত্থান হতে দেওয়া যাবে না। আর কখনো রাজপথে আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলার রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হতে দেওয়া যাবে না। বাংলার মাটিতে আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসীদের ১৫ আগস্ট পালন করতে দেওয়া যাবে না। এখন থেকে জুলাই মাস হবে ছাত্র-জনতার শোকের মাস। আর আগস্ট হবে আনন্দের মাস।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মোহাম্মদ মেশকাত চৌধুরীর সভাপতিত্বে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক মাসুদ রানা, মেহেদী হাসান মুন্না, নওসাজ জামান, তানভীর আহমেদ রিদম, মেহেদী সজীব, আকিল বিন তালেব, ফুয়াদ উল ইসলাম ভুইয়া রাতুল, এফ.আর.এম ফাহিম রেজা, তাসিন খান, মেহেদী হাসান মারুফ, ফৌজিয়া নৌরিন, সালাহউদ্দিন আম্মার, মৃত্তিকা, মাহাদী হাসান মাহির, নুরুল ইসলাম শাহিদ ও আতাউল্লাহসহ হাজার হাজার শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।