নিজস্ব প্রতিবেদক: জমি দখল, বাড়িতে ও দোকানে হামলা করে মালামাল লুট ও প্রাণ নাশের হুমকীর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজশাহী মহানগরীর শিরোইল এলাকার একটি সংস্থার কার্যালয়ে ভূক্তভোগি পরিবারের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সাম্মেলন থেকে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানানো হয়।
আরএমপি চন্দ্রিমা থানার মেহেরচন্ডী এলাকার মৃত আব্দুল জলিল মন্ডলের ছেলে শাহিন আক্তার সাইদ লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, তিনি রাজশাহী মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। তার বাবা মৃত আব্দুল জলিল মন্ডল অত্র ওয়ার্ড বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সভাপতি থাকা অবস্থায় ২০২২ ইং সালে ইন্তেকাল করেন। তিনি একজন জাতীয়বাদী আদর্শের পরিবারের সন্তান ও সাধারণ ব্যবসায়ী। কারো সাথে তার ঝামেলা নাই।
কিন্তু চলতি আগস্ট (২০২৪) ইং মাসের ৯ তারিখ শুক্রবার বেলা ১টার সময় মেহেরচন্ডী এলাকার মৃত আসমত মোল্লার ছেলে নাসির(৫০), খাজার ছেলে মামুন মাস্টার(৫০), মৃত কাশেম এর ছেলে আলী(৪০), রজব আলীর ছেলে সজল, শাকিল ও শাকিব, আনারুলের ছেলে মনির, সোলাইমান এর ছেলে নবী, মৃত ওহাব এর ছেলে জামিল, বালিয়া পুকুর এলাকার সানি ও মৃত করিম বক্স এর ছেলে জসিমসহ এলাকার ছাত্রলীগ ও যুবলীগের চিন্থিত প্রায় ৪৫-৫০ জন মিলে সন্ত্রাসী, রাসিক ২৬নং কাউন্সিলর আক্তারুজ্জামান কয়েল এর নির্দেশনায় তার বসত বাড়িতে দেশীয় ও আগ্নেয় অস্ত্রসহ হামলা চালিয়ে তাকেসহ তার ছেলে ও বড় বোনকে বেদম মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
আহত অবস্থায় তিনি রাজশাহী ইসলামী হাসপাতাল লক্ষ্মীপুর শাখায় চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি জানতে পারেন, তাঁর বাসায় উপরোক্ত সন্ত্রাসীরা আবারও পর পর তিনবার হামলা করে গেটসহ বাড়ির বিভিন্নস্থানে স্থানে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। এরপর তারা রাত ৯টায় ঐ সন্ত্রাসীদের সাথে মেহেরচন্ডী কড়াইতলা এলাকার সাহাদ আলী যুক্ত হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে মেহেরচন্ডী এলাকার জলিলের মোড়ে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাই ভাই আয়রণ ষ্টোরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙ্গচুর করে। সেইসাথে সকল মালামাল, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও নগদ অর্থ প্রায় দুই লক্ষ টাকা নিয়ে চলে যায়। সন্ত্রাসীরা মালামালসহ তার প্রায় দশ লক্ষ টাকার ক্ষতি করেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, সন্ত্রাসীরা শুধু ক্ষতি করেই ক্ষান্ত হয়নি। সন্ত্রাসীরা এখনো তাকে এবং তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণ নাশের হুমকী দিচ্ছে। যে কোন সময়ে তারা পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি করতে পারে। কাউন্সিলর শুধু ভাঙ্গচুর নয় তার পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করে রেখেছে। সেখানে তার কার্যালয় স্থাপন করেছে। কাউন্সিলর সাবেক সরকারী দলের ছত্রছায়ায় এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিলো। আওয়ামী লীগ সরকার ও তার প্রধান, খুনি হাসিনা পালিয়ে গেলেও দৌরাত্ব কমেনি। তিনি তার সন্ত্রাসীকর্মকাণ্ড এবং ভূমি দখল চালিয়েই যাচ্ছে। সেইসাথে তার সন্ত্রাসী বাহিনী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে রেখেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, কাউন্সিলর তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা প্রপাকান্ডা চালিয়ে যাচ্ছে। যা তাকে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করছে। থানা বন্ধ থাকায় তিনি এখন পর্যন্ত এ সব বিষয়ে কোন প্রকার আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারেন নি তিনি। থানার কার্যক্রম চালু হলেই উপরোক্ত সন্ত্রাসীদের নামে এজাহার করবেন। সেইসাথে সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান সাইদ। এদিকে কাউন্সিলরের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।