নিজস্ব প্রতিবেদক: কোটা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে এবং বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিহতদের রক্তের দাগ মুছে যেতে দেয়া হবে না। সকল রক্তের বিচার করা হবে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা যেখানেই থাকনা কেন তাকে দেশে এনে আইনের মাধ্যমে ফাঁসি কাষ্টে ঝোলানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সকল শহীদ ও আহত এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগমুক্তি কামনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি প্রধান অতিথি বক্তব্যে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রাণ ও পূর্নবাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথা গুলো বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশনেত্রীর জন্মদিন পালন করতে দেয়নি। ১৫ আগস্ট শুধু স্বৈরাচার খুনি হাসিনার বাবা শেখ মুজিবুর রহমানই মারা গিয়েছিলেন। সেদিন বাংলাদেশে আর কেউ জন্মায়নি। কেউ বিয়ে করেনি। এজন্য শুধু শেখ হাসিনার বাবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করাই ছিলো একমাত্র কাজ। তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যায় করে মুত্যৃবার্ষিকী করা হতো। সকল অর্থের হিসাব নেয়া হবে। আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে উল্লেখ করেন মিলন।
মিলন আরো বলেন, বিগত ডামি সংসদ নির্বাচন পবা-মোহনপুর আসনে আওয়ামী লীগের একজন এমপি হয়েছিলেন। বিনা ভোটে এমপি হয়ে তিনি রাবন বনে গিয়েছিলেন। এখন তিনি কোথায়। তার আর কোন অস্তিত্ব নাই। পবা-মোহনপুরে আর কাউকে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে দেয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানান। আওয়ামীলীগ, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের যারা খুন ও সন্ত্রাসের যুক্ত ছিলো তাদের দেখা মাত্র আইন শৃংখলা বাহিনীকে খবর দিয়ে তাদের হাতে তুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। বক্তব্য শেষে সবাই মিলে দোয়া ও মোনাজাতদ করেন।
শুক্রবার বিকেলে নওহাটা পৌর এলাকার পবা থানা সামনে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন নওহাটা পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক ও পৌরসভার সাবেক মেয়র শেখ মকবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পৌর বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রফিক, যুগ্ম আহ্বায়ক মফিজ উদ্দিন, পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি আব্দুল হামিদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মামুনুর সরকার জেড, নওহাটা পৌরসভার কাউন্সিলর নাজিমুদ্দিন, আবু সুফিয়ান, মাসুম পারভেজ, সাবেক কাউন্সিলর আফজাল হোসেন, মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, সাবেক কাউন্সিলর সাইদুর রহমান।
পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মর্তুজা, শরিফুর রহমান শরীফ, ১নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ মনিরুল ইসলাম খান,২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনসুর আলী, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রায়হানুল আলম,৫ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হেফাজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক নকির উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুল বারী, সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হক, নওহাটা পৌর আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল হাকিম রাজশাহী জেলা মহিলা দলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদা পারভী ও সাংগঠনিক সম্পাদক রত্না খাতুন।
যুবদল রাজশাহী জেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি সুলতান আহমেদ ও মোজাফ্ফর হোসেন, সদস্য ইফতেখারুল ইসলাম ডনি, পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক সুজন মোল্লার সঞ্চালনায় সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিলন, আজাদ ও তৈমুর, পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিলন, সদস্য সচিব গোলাম রব্বানী, পৌর ছাত্রদলের সোহেল রহমান ও সদস্য সচিব সজলসহ স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।