নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র অন্তর্গত মতিহার থানা বিএনপি’র আয়োজনে শনিবার রাতে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। রাজশাহী বিসিক এলকায় অবস্থিত বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এর কার্যালয়ে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সভাপতিত্ব করেন মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী। উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সহ-গ্রাম বিষয়ক সম্পাদক শুকুর আলী, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফরমান আলী, ২৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মালেক, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজদার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাশেম,৩০নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা এরশাদ, মাসকাটাদিঘী মহল্লাহ কমিটির সভাপতি একাব্বর আলী, মতিহার থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শরিফুল আলম টিয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার জাহান শিবলী।
সভায় মতিহার থানার নেতৃবৃন্দ বলেন, দীর্ঘ প্রায় তিন বছর ধরে রাজশাহী মহানগর আহ্বায়ক কমিটি রয়েছে। অথচ এই কমিটির তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন কওে নির্বাচিত কমিটির নিকট দায়িত্ব প্রদান করার কথা ছিলো। কিন্তু এর্যন্ত তারা ওয়ার্ড কমিটিও করতে পারেনি। যে সকল ওয়ার্ড কমিটি করেছে সেগুলো অথর্ব ও দলের সাথে তাদের সম্পর্ক নাই। কখনো তারা আন্দোলন সংগ্রামে আসেনি। জানা গেছে কমিটি গঠনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা অর্থের বিনিময়ে ঐ সকল কমিটি দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তারা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা দীর্ঘদিন থেকে বিএনপি করে আসছেন। জেল, জুলুম ও নির্যাতিত হয়েছেন। এখনো হচ্ছেন। তাদেও সকলের নামে একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতিনিয়ত তারা কোর্টে হাজিরা দিচ্ছেন। কিন্তু তারা এখন উপেক্ষিত বলে উল্লেখ করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, রাজশাহী হচ্ছে আন্দোলনের সুতাগার। অথচ এখন বিএনপি’র কর্মসূচীতে লোক নেই। বর্তমান মহানগর কমিটির ডাকে কোন নেতাকর্মী ও সাধারণ জনগণ উপস্থিত হয়না। ৫ আগস্টের পূর্বে বিএনপি কার্যালয় ভাঙ্গচুর করলেও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি ও তাদের অন্যান্য নেতারা কোন প্রকার বিবৃনতি বা প্রতিবাদ জানাননি।
এ নিয়ে তারা নিন্দা জানান। এ থেকেই বোঝা যায় তারা কতটুকু সংগঠক। রাজশাহী মহানগর বিএনপিকে সুসংগঠিত করে গড়ে তুলতে তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে মহানগর, থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানান। তা না হলে রাজশাহী মহানগরে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির বয়স হয়েছে মাত্র দুই বছর আট মাস। অথচ এই কমিটির উপরের দায়িত্ব ছিলো তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন করে নির্বাচত কমিটির হাতে দায়িত্ব হস্তান্তর করা। কিন্তু তারা তা না করে নিজেদের মত করে চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, কমিটি থাকলেই নেতা আর কমিটির বাহিরে থাকলে নেতা নয় এটা ঠিক নয়। মতিহার থানার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা সর্বদা মাঠে আছেন। কাউকে না ডাকলেও আপনারা সকল আন্দোলনে শরীক হচ্ছেন। আপনাদের আমি আমার এখানে আসার জন্য ডাকি নাই। কিন্তু দলকে ভালবাসেন বলেই এখানে আপনারা রাত হলেও এসেছেন।
মিলন বলেন, ৫ আগস্টের দিনে এবং তার পরের দিনে নেতাকর্মীদের শান্ত এবং সরকারী ও বেসরকারী কোন প্রতিষ্ঠান যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয় সেদিকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিএনপি’র সর্বোচ্চ নেতা তাঁকে ফোন করে নির্দেশ দেন। সেইসাথে মাঠে থাকার পরামর্শ দেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। সময় খুব সন্নিকটে উল্লেখ করে এই সময়টুকু ধর্য্যরে সাথে রাজনীতির মাঠে থাকার জন্য সকলকে আহ্বান জানান মিলন।