নিজস্ব প্রতিবেদক: ম্যাটস, ডিএমএফ ও এলএমএফ পাশ করা মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টদের বিএমডিসি কর্তৃক মেডিকেল প্র্যাক্টিশনার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় রামেক হাসপাতালের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের আয়োজনে মানববন্ধন ও কর্ম বিরতি কর্মসূর্চী পালন করা হয়। কর্মবিরতির সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে ইসলামী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও উদয়ন ডেন্টাল কলেজ।
কর্ম বিরতি ও মানববন্ধন থেকে ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দাবী জানান। তাদের দাবী সমুহ হলো বিডিএস, এমবিবিএস ছাড়া অন্য কাউকে বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশন দেয়া যাবে না। এখন পর্যন্ত যত ডিডিটি, বিএসসি স্যাকমো, ডিএমএফ এবং এমটি বের হয়ে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করছে তাদের চেম্বার বন্ধ করে দিতে হবে এবং বিডিএস, এমবিবিএস ছাড়া কেউ চেম্বার দিতে পারবে না, রোগী দেখতে পারবে না এবং রোগীর মুখে হাত দিতে পারবে না। দিলে তাকে জেল-জরিমানার আওতাভুক্ত করতে হবে। সকল ফার্মেসিতে এমবিবিএস এন্ড বিডিএস ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া কোন ওষুধ বিক্রয় বন্ধ করতে হবে। শুধুমাত্র ডাক্তার, মেডিকেল এবং ডেন্টাল স্টুডেন্ট ছাড়া আর কেউ “সাদা এপ্রোন” পড়তে পারবে না। এম বি বি এস এবং বিডিএস ডিগ্রীধারী ব্যাতিত অন্য কেউ ডা. পদবী ব্যাবহার এবং লিখতে পারবে না।
বিএসসি টেকনোলজিস্ট বন্ধ করতে হবে আজীবনের জন্য এবং টেকনো সিলেবাস পরিবর্তন করে টক সিলেবাস করে (এমবিবিএস এন্ড বিডিএস) ডেন্টাল টেকনেশিয়ানের সিলেবাস করে দিতে হবে এবং এমবিবিএস ছাড়া কেউ আল্ট্রা করতে পারবে না। চিকিৎসকদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা দিতে হবে। ইন্টার্ন এন্ড পোস্টগ্র্যাজুয়েটদের বেতন বাড়াতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব ডাবলুএফএমই ধপপৎবফরঃধঃরড়হ, ইন্টার্নশিপ এবং কলেজের যৌক্তিক মাইগ্রেশন ব্যাবস্থা চালু করা। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ২ দিন ছুটির ব্যবস্থা করতে হবে। স্বাস্থ্য ক্যাডারে বিএসসি পরিক্ষা হতে হবে শুধু মেডিকেলের সিলেবাসে। যখন যাকে ইচ্ছা অযৌক্তিক কারণে বদলি করা যাবে না। কোন স্টুডেন্টকে অযৌক্তিক ভাবে ফেল করানো যাবে না।
তারা আরো দাবী জানান, কোন লবিং চলবে না, কোন যৌন হয়রানির মাধ্যমে পাশ ফেল করানো যাবে না। এই বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিতে হবে। এমবিবিএস এবং বিডিএস, প্রফেশনাল পরীক্ষায়, যে সাবজেক্টের যে অংশে ফেল করবে শুধু সেই অংশের পরীক্ষা নিতে হবে এবং বিডিএস দের একসাথে একদিনে কমবাইন্ড সাবজেক্টের যে কোন একটা সাবজেক্টের রিটেন, ভাইবা এবং অস্পি নিতে হবে। প্রফ পরীক্ষার ফি সরকারী এবং বেসরকারি সব এক রাখতে হবে।
প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজ গুলোর বেতন সর্বোচ্চ ৭০০০-৮০০০ হতে হবে, অযৌক্তিক জরিমানা বন্ধ এবং প্রাইভেট মেডিকেল ডেন্টাল কলেজের বেতন ৬০ মাসের বেশি না নেয়ার নির্দেশনা দিতে হবে। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রোপার কর্মসংস্থান তৈরি করতে সহায়তা করতে হবে। সরকারি এবং বেসরকারী মেডিকেল কলেজ গুলোর নিজস্ব ক্যাম্পাস এবং হসপিটাল রাখতে হবে, যে সকল কলেজের নেই তাদের দ্রুত ব্যাবস্থা গ্রহণ করতে হবে উল্লেখ করেন তিনি। অনতিবিলম্বে সকল দাবী মেনে না নেয়া হলে কর্মবিরতি সহ কঠোর কর্মসূচী দিতে বাধ্য হবেন বলে জানান আন্দোলনকারীরা।