নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর হেতম খা এলাকায় অবস্থিত সামসুন্নাহার ইসলামী মাদ্রাসা রক্ষায় রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন রইস উদ্দীন এর ছেলে ওয়াহিদুল কাওসার টিপু। বুধবার দুপুরে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল ওয়াহেদ মাসুম, আলমগীর কবীর, মোসাদ্দিকুর রহমান, শাহীন, রফিকুল ইসলাম, তুহিনুল ইসলাম, রেজাউল করিম, রায়হান জ্যাকি, মিজান চৌধুরী, শরফুজ্জামান শামীম, কুরবান আলী, আজিজুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম, আনিস, রানা, শামীম হোসেন, ইউসুফ আলী, শুকুর আলী, জনি ও পারভেজ।
তারা স্মারকলিপিতে উল্লেখ করেন অত্র মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি রাসিক সাবেক ১০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ উদ্দীন আহম্মেদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন, সৈয়দ সাদাকাতুল বারী মামুন, সৈয়দ আহমেদ জাকীগণরা মিলে জেলা রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানাধীন মৌজা- বোয়ালিয়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড নাং- ১০ এর মধ্যে হেতেম খাঁ মহল্লায় অবস্থিত বর্ণিত হেতেম খাঁ সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসা এর সম্পত্তি জেলা। রাজশাহী, থানা বোয়ালিয়া, মৌজা: বোয়ালিয়া, জে.এল, নং- ৯ এর মধ্যে আর.এস. খতিয়ান নং-২৫৭৬, আর.এস দাগ নং-২২৫৯, রকম- নাল, পরিমাণ-০.৮৮৭ শতাংশ, দলিল নং-৫৪১/৮৮ তপশিল ভূক্ত সম্পত্তি মূল মালিক তার জীবন দশায় মুসলমান জনসাধারণের ধর্মীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯৮৮ সালে ১৬ জানুয়ারী দান করে যান।
একই তারিখে ওয়াকফ লিল্লাহ দলিল নং ৫৪১/৮৮ মুলে “হেতম খাঁ, সামসুন্নাহার ইসলামীয়া মাদ্রাসা” সাং হেতেম খাঁ, থানা বোয়ালিয়া, জেলা: রাজশাহীর পক্ষে জেলা প্রশাসক, রাজশাহী বরাবরে দলিল সম্পাদন করে দেন। ওয়াকফকৃত সম্পত্তির উপর স্থানীয় লোকজনের এবং সরকারী সাহায্যে একটি স্থানীয় কমিটির মাধ্যমে দালান ও টিনসেড তৈরী এর প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন এবং মাদ্রাসার কার্যক্রম চালু করা হয়।
তিনি আরো উল্লেখ করেন পরবর্তীতে মাদ্রাসার উদ্যোক্তাগণ মৃত্যুবরণ করলে প্রতিপক্ষগণ তাদেও মনোনীত তথাকথিত লোকজন নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানটি ওয়াকফ তালিকাভুক্ত না করে ওয়াকফ আইনের ১৯ ধারা এবং একই আইনের ২৭ ধারা প্রতিপালন না করে সম্পূর্ন বে-আইনীভাবে এবং এলাকাবাসীকে না জানিয়ে গোপনে একটি কমিটি গঠন করে ওয়াকফকৃত প্রতিষ্ঠানের ঘরগুলি স্থানীয় একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলিটেকনিক, হেতেম খাঁ, বোয়ালিয়া, রাজশাহীর নিকট নাম মাত্র টাকা উল্লেখ করে ১৫-১৬ বছর যাবৎ ভাড়া দিয়ে রেখেছেন।
যার ফলে বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনন্সটিটিউটের কার্যক্রম দ্রুত সম্প্রসারণের কারণে হেতেম খাঁ সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসার কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় শিক্ষা পাঠ গ্রহণ চরমভাবে ক্ষতিগ্রপ্ত হয়। সেইসাথে মাদ্রসা বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ ও বিদ্বেশ সৃষ্টি হলে পূর্বের কমিটিকে এ বিষয়ে অবগতি করলে কমিটি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেন নাই। এক পর্যায়ে মাদ্রাসার সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানটিতে স্থানীয় মুসলমান জনসাধারণের সন্তান সন্ধানাদীর ইসলাম শিক্ষার পথ প্রসস্থ করার মহৎ উদ্দেশ্যকে সফল করতে হেতম খাঁ সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসা ওয়াকফ তালিকাভুক্ত করণসহ প্রতিপক্ষগণের নিকট হতে হিসাব তলব করা এবং অবৈধ কমিটি বাতিল এবং স্থানীয় প্রতিনিধির ও গণ্যমাণ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে নতুন কমিটি গঠণের সুব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেন তাঁরা।