নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবায় সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিন ও ৯ জন নামীয় আসামীসহ অজ্ঞাত দুই থেকে আড়াই‘শো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মারপিট, লুটপাট-ভাংচুর ও ২৫ লাখ টাকার ক্ষতির মামলা হয়েছে। শুক্রবার আরএমপি কর্ণহার থানায় উপজেলার তালুক ধর্মপুর গ্রামের সাবের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় দলবদ্ধ হয়ে হাত বোমা, ককটেল, দেশীয় অস্ত্র, হাসুয়া, পাসলি, চা-পাতি, ছুরি এবং লাঠি-সোটা সহ অস্ত্রে-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দর্শনপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সামনে ৪/৫টি হাত বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে।
তারা বিএনপি দলীয় এম পি প্রার্থী (ধানের শীষ প্রতিক) বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এর নির্বাচনী প্রধান কার্যালয়, দর্শনপাড়া বেইলী ব্রীজের পাশে দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাংচুর ও লুটপাট করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে। শুধু তাইনয় তারা ৫/৭ টি ককটেল বিস্ফোরন ঘটায়। তারা সেখানে থাকা ১০ হাজার পাঁচশো টাকা চুরি করে নেয়। এছাড়াও অফিস ভাংচুর করে আনুমানিক ২৫ লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করে।
এপপর দুর্বৃত্তরা চলে যাওয়ার সময়ে বলে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন ধরনের মামলা মোকদ্দমা করলে তোকে প্রাণে মেরে ফেলব। একই ভাবে দর্শনপাড়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের ধানের শীষের নির্বাচনী ক্যাম্পে ভাংচুর করে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে ফেলে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৮ ইং সালের ৩০ ডিসেম্বর দর্শনপাড়া আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় থেকে সকলে হাতে আগ্নেয়াস্ত্রসহ দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দর্শনপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ এর নির্বাচনী প্রতিটি বুথ থেকে ধানের শীষের নির্বাচনী এজেন্টদের জোরপূর্বক বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকার প্রতিকে সীল মারে।
উপস্থিত জনগণ বাধা প্রদান করলে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনগণকে এলোপাথাড়ী লাঠিসোটা দিয়ে মেরে নির্বাচনী কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়। একই ভাবে ১নং দর্শনপাড়া ইউয়িনের প্রতিটি নির্বাচনী কেন্দ্রে হামলা করে একই পরিস্থিতির সৃষ্টি করে জোরপূর্বক ধানের শীষের প্রার্থীর বিজয়কে ছিনিয়ে নেয়।
মামলায় অন্যান্য আসামীরা হলেন, পবা উপজেলা যুবলীগ সভাপতি ও মাধবপুর গ্রামের মুনসুর রহমানের ছেলে এমদাদ আলী (৪৮), দর্শনপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও তিশলাই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ইয়াসিন আলীর ছেলে কামরুল হাসান (রাজ), দারুশা সায়েরপুকুর গ্রামের নূর বখতর ছেলে ইকবাল হোসেন (৩২), দর্শনপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাবেক সভাপতি ও দর্শনপাড়া গ্রামের মৃত উমর আলীর ছেলে আক্কাশ আলী (৫১) ও সারওয়ার জাহান (মিল্টন) (৩৮), দর্শনপাড়া গ্রামের মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে ইয়ামিন আলী (৭২) ও দর্শনপাড়া গ্রামের মৃত আহাম্মদ আলীর ছেলে আনছার আলী (৭৫)।