নিজস্ব প্রতিবেদক: নব্য মীরজাফর হিসেব আখ্যায়িত হয়েছেন স্বৈরাচার খুনি হাসিনা। এই কথা খোদ আওয়ামী লীগের নোকর্মীরা বলা শুরু করেছে। কারন আওয়ামীলীগ, অঙ্গৃ ও সহযোগি সংগঠনের সকল নেতাকর্মীদের বিপদে ফেলে দিয়ে তিনি পালিয়ে ভারতে চলে গেছেন। পালানোর আগমুহুর্ত পর্যন্ত তিনি তার নেতাকর্মীদের দেশত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন। রাজশাহীর মোহনপুরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের গৌরব, ঐতিহ্য ও সংগ্রামের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শনিবার বিকেলে র‌্যালিপূর্ব আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এই কথাগুলো বলেন।

তিনি বলেন, খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতসহ দেশের বিভিন্ন মামলা হয়েছে। তাক দেশে ফিরেন আসতেই হবে। তিনি আরো বলেন, মীরজাফর হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশ নিয়ে আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারই প্ররোচনায় ভার নদীর বাধ খুলে দিয়ে বাংলাদেশের ৯টি জেলা প্লাবিত করেছে। অথচ ভারতের সাথে ৫৪টি নদী নিয়ে অভিন্ন চুক্তি রয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার চুক্তির তোয়াক্কা না করে প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে এই কান্ড ঘটিয়ে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

মিলন বলেন, বালাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করার দিন শেষে বাংলাদেশ আবারও স্বাধীন হয়েছে। এই স্বাধীন দেশে আর কোন দূর্নীতিরবাজদের স্থান নাই। এছাড়াও বাংলাদেশ কেউ যদি ষড়যন্ত্র কওে তাহলে তার দাতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, বিএনপি এখন ক্ষমতায় নাই। অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশ পরিচালনা করছেন। এ সময়ে দলের কোন নেতাকর্মী ক্ষমতার দাপট ও কোন প্রকার জবর দখল ও অন্যায় কাজ করলে দল তার দায়ভার নেবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি। মোহনপুর সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ হতে র‌্যালি বের করা হয়।

বক্তব্য শেষে মোহনপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালি নিয়ে নেতাকর্মীরা মোহনপুর উপজেলা সদরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি পূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহাঙ্গীর আলম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সদস্য সচিব মাসুদ রানা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক মাসুদুর রহমান লিটন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মোহনপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপি’র সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সামাদ, মোহনপুর উপজেলা বিএনপি’র আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুব আর রশিদ, সদস্য সচিব বাচ্চু রহমান, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন বকুল, সদস্য আব্দুল কাদের মোল্লা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজিম উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মোজাম্মেল হক, সদস্য সচিব আব্দুল করিম মন্ডল, উপজেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা শওকত, শাহরিয়ার সাজ্জাদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক, কেশরহাট পৌর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক মশিয়ার রহমান ও কেশরহাট পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি দুলাল হোসেনসহ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ।