নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর পবা উপজেলার দারুশা কলেজের অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। রোববার সকালে ছাত্র-জনতার ব্যানারে পালিত এই মানববন্ধনে কলেজের অধ্যক্ষ সাহনাজ পারভীন এর নিয়োগ অবৈধ বলে দাবি তোলেন আন্দোলনকারীরা। মানববন্ধন শেষে আন্দোলন ও মানববন্ধনে অংশ নেয়া ছাত্ররা কলেজের মিলনায়তনে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা শেষে আজ মঙ্গলবারের মধ্যে অধ্যক্ষের অপসারণ চেয়ে আল্টিমেটাম দেন। সেইসাথে আন্দোলনকারীরা অধ্যক্ষের অপসারণের ব্যানারে আন্দোলন করলেও কলেজের বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতি, নিয়োগ বাণিজ্য বন্ধ ও পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অযৌত্তিক অর্থ আদায়ের বিষয়গুলো বন্ধের দাবি জানান।
আন্দোলনকারিরা বলেন, কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষ মিলে এই কলেজের বেশকিছু বিষয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। সাবেক এমপি আয়েন উদ্দিনের আমলে তিনিই ছিলেন সভাপতি। তার আমলে এই কলেজে বর্তমান অধ্যক্ষ সাহনাজ পারভীন নিয়োগ পান। এছাড়াও মোটা অর্থের বিনিময়ে তিনি আরো কয়েকজন শিক্ষককে নিয়োগ দিতে বিভিন্ন ধরনের সহোযোগিতা করেছেন বলে দাবি আন্দোলনকারীদের। কলেজের ব্যাংক হিসাব ও কলেজ ফান্ডের অর্থ নিয়েও ছয়-নয় করার অভিযোগ উঠেছে গভর্নিং বডিসহ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। বৈষমের স্বীকার হয়েছেন অনেক সিনিয়র শিক্ষক। কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীর একাংশ এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে বলেন, গভর্নিং বডি যেভাবে কলেজ চালাতেন, সেভাবেই চলতে বাধ্য ছিলেন তারা। তাই কোন প্রকার দুর্নীতির কথা জেনেও তারা ভয়ে মুখ খুলতে পারেন নি এতদিন।
অধ্যক্ষের অপসারণের দাবির আন্দোলনে অন্যতম ভূমিকা রাখেন প্রধান সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী মুসফিকুর রহমান ফুয়াদ, সমন্বয়ক পরিচয়দানকারী রাসিদুল ইসলাম জয়, কাউসার হোসেন রিফাত, সুইট হাসান, হাবিব, হাফিজুর রহমান সোহেল, আশিকুল ইসলাম, আতিক ইসলাম, নাঈম ও মাহফুজ সহ অন্যান্য শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কিছু গণ্যমান্য ব্যক্তি।
জানতে চাইলে অধ্যক্ষ সাহনাজ পারভীন বলেন, নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কলেজের সিনিয়র শিক্ষকদের বিশেষ অনুরোধে তিনি অধ্যক্ষ পদে আবেদন করেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে তিনি অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন। যেহেতু তিনি কলেজে কর্মরত ছিলেন তাই নিয়ম মোতাবেক তিনি অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই নিয়োগ পেয়েছেন। আর্থিক দুর্নীতির বিষয়ে তিনি চ্যালেঞ্জ করে বলেন, তাঁর নিকট সকল প্রকার ডকুমেন্ট আছে। তিনি কোনপ্রকার আর্থিক দুর্নীতি করেন নি বলে জানান।