নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর বাগমারার বিলকুৎসা গ্রামের মনোয়ারা খাতুন(৩০) একযুগ ধরে স্ত্রীর দাবীতে ঘুরছেন আরিফুল এর নিকট। মনোয়ারা বলেন, তারই পারেশল গ্রাম গুপিনাথপুরের আবু মিয়ার ছেলের সাথে ২০১০সালে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেম থেকে তাদের বিবাহত্তোর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর ফলস্বরুপ ২০১২সালে একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি। তার বয়স এখন ১২ বছর। বার বছর ধরে তিনি মেয়ের পিতার দাবীতে আরিফুলের পিছনে ঘুরলেও আজও স্বীকৃতি পাননি।
মনোয়ারা বলেন, উপায় না পেয়ে তিনি ২০১২সালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি থেকে বিাচরের দাবীতে কোর্টে মামলা করেন। মামলা এখনো চলমান রয়েছে। এই মামলা চলাকালীন সময়েই তিনি ২০১৩সালে সিঙ্গাপুরে চলে গেছেন। এখনো তিনি সেখানেই আছেন। তিনি বলেন, পুলিশ এই মামলা নিয়ে অনেক তালবাহানা করেছে। আসামীকে আটক করেও ছেড়ে দিয়েছিলেন সে সময়ে। তিনি একমাত্র কন্যা সন্তানকে নিয়ে মহাবিপদে আছেন। তিনি এখন গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। সেলাই করে জীবন নির্বাহ করছেন। সাথে আছেন অন্ধ মা। বাবা অনেক আগেই মারা গেছে।
মনোয়ারা আরো বলেন, আরিফুল সিঙ্গাপুরে যাওয়ার পরেও তিনি বার বার আরিফুলের বাড়িতে যেয়ে তার বাবার নিকট বউমার ও কন্যার দাদার স্বীকৃতি চাইলে তার বাবা বলেন, ছেলে কোনভাবেই মনোয়ারাকে নেবে না বলে জানান। এখনো তাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিলে তিনি স্বামীর নিকট যাবেন বলে উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, লজ্জায় ঘৃনায় এক সময় বার বার সুইসাইড করতে চেয়েও পারেননি।
তিনি বলেন, তার মেয়ে এখন পঞ্চম শ্রেণিতে লেখাপড়া করছে। আগামী বছর তিনি ক্লাশ সিক্সে উঠবে। এ সময়ে তাকে ভর্তি হতে পিতার নাম ব্যবহার করতে হবে। কিন্তু তিনি বাবার নাম দেবেন কিভাবে। এ নিয়ে নানা দুশ্চিন্তায় আছেন। দ্রুত আরিফুলকে দেশে ফিরিয়ে এনে আইনের আওতায় বিচারের দাবী জানান। সেইসাথে তিনি স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতি দাবী করেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের অন্তর্গত মহিলা সহায়তা কর্মসূচী উপপরিচালকের কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাহবুবা সুলতানা বলেন, মনোয়ারা খাতুন তার ন্যায্য অধিকার আদায়ে যদি আবারও আরিফুল ও তার বাবাসহ অন্যান্যদের নামে মামলা করতে চান, তাহলে সব ধরনের সহযোগিতা এই প্রকল্পের মাধ্যমে করা হবে। সেইসাথে পুরুষের সাথে বিবাহ পরবর্তী আচরণ পূর্বে না করার জন্য সকল নারীদের আহ্বান জানান এই কর্মকর্তা।