নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হুকুমের আসামী করে বাঘা-চারঘাটের সাবেক সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমকে এক নম্বর আসামী করে রাজশাহীর বাঘা থানায় মোট ২৪ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা করেছেন ভূক্তভোগি রাজশাহী বাঘা থানার ব্রাহ্মণডাঙ্গা গ্রামের মাহাবুব আলমের ছেলে এস এম সালাউদ্দিন আহমেদ শামীম সরকার। তিনি মঙ্গলবার বাঘা থানায় উপস্থিত হয়ে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি উল্লেখ করেন গত ২১মে ২০২৩ইং দুপুর অনুমান ২টার সময় বাঘা নতুন বাস স্ট্যান্ডে রাকিবের দোকান থেকে আসামীরা সাবেক প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে অজ্ঞাত ২০/৩০ জন আসামীগণ পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী হত্যার উদ্দেশ্যে অন্যান্য আসামীগণের প্রত্যক্ষ সহযোগীতায় তাঁকে ঘটনার সময়, স্থান ও তারিখে তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক গুমের উদ্দেশ্যে চোখ বেধে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে।
পরের দিন থেকে পাঁচবারের অধিক বৈদ্যুতিক শক দেয় এবং পায়ে রিভলবার ঠেকিয়ে গুলি করে। সেইসাথে পায়ের ৩টা নখ উপরে দেয়। পাশাপাশি মানসিক টর্চার করতে থাকে। এভাবে টানা ৭দিন নারকীয় টর্চার শেষে ২৮মে ২০২৩ইং মিথ্যা মামলা দিয়ে ঢাকা কোর্টে চালান দেওয়া হয়। আসামীগণ হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করার অপরাধ করেছে। । রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের কারনে মামলা দায়ের করতে দেরি হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অন্যান্য আসামীরা হলেন, বাঘা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মহিদুল ইসলাম (৫০), সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর পিতা শামসুদ্দীন (৭৫), সাবেক সংসদ সদস্যও পি এস সিরাজুল ইসলাম (৫১), পি এস জাকির হোসেন (৫০), বাঘা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস (৫৮), নাজমুল (৩৫), সাবেক প্যানেল মেয়র পিন্টু (৪৫), বাঘা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন (৪২), পাকুরিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক নয়ন সরকার (৪৩), চারঘাট উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম (৬০), চারঘাট পৌরসভা সাবেক মেয়র একরামুল ইসলাম (৫৭), রুহুল আমিন সরকার (৪৫), মোকলেছুর রহমান বাচ্চু (৪৫), বাপ্পী (২৮), আড়ানী পৌরসভা সাবেক মেয়র মুক্তার হোসেন (৫৮), মারুফ মন্ডল (৩৫), সেলিম (৩২), হিমেল (৪৩), শিলন (২৭), ঝুন্টু (২৮), নুরুজ্জামান (৫৫), শাহিন (২৫)।