নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর কাজিহাটায় (লক্ষ্মীপুর সাইড) বাড়ি ভাড়া নেন রাজশাহী মহানগরীর লক্ষ্মীপুর ভাটাপাড়া এলাকার মৃত চাঁদ মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা পাখি ও একই এলাকার মৃত আতর আলীর ছেলে আব্দুল গাফ্ফার। তারা স্ট্যাম্পের মাধ্যমে ২০১১ সালের পহেলা জুন হতে ২০২৩ সালের ৩১ জুলাই পর্যন্ত মোট ১২ বছরের জন্য মাসিক ২১,০০০টাকা ভাড়ায় বাড়ি মালিক কাজিহাটা এলাকার মৃত আব্দুল আজিজ এর ছেলে আনোয়ারুল হক বাবুল এর সাথে একটি চুক্তি করেন। এই চুক্তির মেয়াদ গত ৩১-০৭-২০২৩ইং তারিখ শেষ হয়েছে। কিন্তু ভাড়াটিয়াগণ তার বাড়ি ছাড়েননি। ভাড়াটিয়াগণ বাড়ি নিয়ে শাহী প্যালেস নামে একটি আবাসিক হোটেল করেছেন। এসময়ে জামানত বাবাদ বাড়ির মালিক মোট ১৩,৫০০০০/- (তের লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা) নেন।
এই বিষয়ে আনোয়ারুল এর ছেলে ফয়সাল আনোয়ার বলেন, ভাড়াটিয়া মাসুদ রানা পাখি ও আব্দুল গাফ্ফার জোরপূর্বক তাদের বাড়ি দখল করে রেখেছে। শুধু তাইনয় তারা নিজে নিজেই ০১-০৮-২০২৩ ইং তারিখে সমপরিমান স্ট্যাম্পে ৩০-০৭-২০৩৩ সাল পর্যন্ত একটি ভূয়া চুক্তিনামা করেন। এ চুক্তিরনামার স্ট্যাম্প আসল কিনা জানতে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবরে আবেদন করলে সাকিব হাছান খান ট্রেজারি অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয় লিখিতভাবে জানান পরবর্তী চুক্তিনামার স্ট্যাম্প বিক্রয়ের কোন প্রমান রেজিষ্টারে নাই। এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, পরের চুক্তিনামা সম্পূর্ন জাল ও ভূয়া।
তিনি আরো বলেন, তার বাবা ২০১৬ ইন্তেকাল করেছেন। এখন তার মা বলাকা কবির এই বাড়ির মালিক। এ নিয়ে ভাড়াটিয়াদের বার বার বাড়ি ছাড়ার তাগিদ দিলে তারা বাড়ি ছাড়ছেনা। উল্টো তাদের বিভিন্ন ধরনের হুমকী দিচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। এই নিয়ে ৫ আগস্টের পূর্বে বহুবার রাজপাড়া থানায় অভিযোগ করতে গেলেও থানা কোন প্রকার অভিযোগ নেয়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগর সরকারের দাপটে ভাড়াটিয়াগণরা এমন আচরণ করছেন। এ নিয়ে রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন থেকে ২২-০৭-২০২৪ ইং তারিখ পর্যন্ত ভাড়াটিয়াদের বাড়ি ছাড়ার জন্য সময় দিয়েছিলো। কিন্তু অদ্যবধি তারা বাড়ি না ছেড়ে নানান তালবাহানা করছেন বলে জানান তিনি। তিনি দ্রুত তাদের বািিড় ছেড়ে দেয়ারন ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসন ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন।
এবিষয়ে ভাড়াটিয়া মাসুদ রানা পাখি বলেন, তাদের নিকিট বৈধ কাগজ আছে। ৩০-০৭-২০৩৩ সাল পর্যন্ত তাদের ডিড রয়েছে। সেইসাথে ২৫লক্ষ টাকা জামানত দেয়া আছে। এছাড়াও হোটেলে অনেক মালামাল রয়েছে। শুধু তাইনয় বাড়ি ডেকোরেশন ও ঠিকঠাক করতে প্রায় ৫লক্ষ টাকা ব্যায় হয়েছে। এগুলো দিলে বিবেচনা করতে পারেন বলে জানান তিনি। তবে এই বাড়ি নিয়ে অনেক স্থানে বসা হয়েছে। কোন সুরাহা হযনি। এনিয়ে তিনি কোর্টের দারস্থ হবেন বলে উল্লেখ করেন পাখি।