নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর হেতম খাঁ এলাকায় অবস্থিত সামসুন্নাহার ইসলামী মাদ্রাসা রক্ষায় রাজশাহী বিভাগীর কমিশনার বরাবরে স্মারকলিপি দিয়েছেন এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর পক্ষে স্বাক্ষর করেন রইস উদ্দীন এর ছেলে ওয়াহিদুল কাওসার টিপু। রোববার দুপুরে তারা এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। এ সময়ে এলাকা বাসির পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন মিজান চৌধুরী, শরফুজ্জামান শামীম, শাহীন, কুরবান,আলী, শামীম হোসেন, তুহিনুল ইসলাম, আনিস, মাসুম, রেজাউল ইসলাম ও শুকুর আলীসহ আরো অনেকে ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় রাজশাহী, বোয়ালিয়া থানাধীন, বোয়ালিয়া মৌজায়, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ড নং- ১০, এর মধ্যে হেতেমখাঁ মহল্লায় অবস্থিত নিম্ন তফসিল ভূক্ত সম্পত্তির মূল মালিক তাহার জীবনদশায় মুসলমান জনসাধারণের ধর্মীয় শিক্ষার উদ্দেশ্যে উক্ত সম্পত্তি দান বা উৎসর্গ করে গত ১৬-০১-১৯৮৮ ইং তারিখে ওয়াকফলিল্লাহ দলিল নং ৫৪১/৮৮ মূলে সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসা সাং- হেতমখী, থানা: বোয়ালিয়া, জেলা: রাজশাহীর পক্ষে জেলা প্রশাসক রাজশাহী বরাবরে দলিল সম্পাদন করেছেন। সে মোতাবেক অত্র এলাকা বাসীর সার্বিক সহযোগীতায় ও সরকারী অনুদানে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়ে আসছিলো।
অত্যন্ত দুঃখের বিষয় গত ২০০৮ সাল এর পর হতে প্রতিপক্ষগণ হেতম খাঁ সামসুন্নাহার ইসলামিয়া মাদ্রাসার সভাপতি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর সিরাজ উদ্দিন আহমেদ মানিক (৬০), সাধারণ সম্পাদক আলতাব হোসেন (৬২) বাংলাদেশ পলিটেকনিক ইনসইটটিউট এর প্রিন্সিপাল সৈয়দ সাদাকাতুল বারী মামুন (৫৮), পরিচালক সৈয়দ আহমেদ জাকী (৪৫) মিলে সু-কৌশলে সাবেক কাউন্সিলর ক্ষমতার অপব্যবহার করে কমিটির অন্যদের সহযোগতিায় মাদ্রাসায় একটি পকেট কমিটি গঠন করে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন। যা সাধারণ এলাকাবাসী কেউ জানেন না।
এই অবৈধ কমিটি মাদ্রাসার ধর্মীয় শিক্ষার কার্যক্রম বন্ধ করে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পলিটেকনিট ইন্সস্টিটিউটকে ভাড়া দিয়ে ১৬-১৭ বছর যাবৎ ভাড়ার টাকা আত্মসাৎ করে এযাবৎকাল অবধি অবৈধভাবে বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষার দিক বিবেচনা করে বন্ধ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকায় সাধারণ জনসাধারন একত্রিত হয়ে পুনরায় চালুর উদ্যেগ গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে গত ২১-০৮-২০২৮ ইং তারিখে রাজশাহী জেলা প্রশাসক বরববরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্মারবলিপির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের অবৈধ কার্য্যক্রম বন্ধসহ বিগত দিনের হিসাব তলবান্তে মাদ্রাসা চালুসহ প্রতিপক্ষ গণের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দাবী জানান তারা।
বিভাগীয় কমিশনার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য উপস্থিত জেলা প্রশাসকের নিকট প্রেরন করেন। সেইসাথে দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রতিষ্ঠান উদ্ধার করে পূর্বের কার্যক্রম চালু করার কথা বলেন। এই কাজে তাঁর সার্বিক সহযোগিতা থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।