নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগরীতে স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতরণার অভিযোগ এনে কোর্টে মামলা দায়ের করেছেন এক অসহায় স্বামী। স্ত্রী নাজনীন আক্তার রাজশাহীর জেলার পুঠিয়া থানার ভুবননগর গ্রামের রসুল মন্ডলের মেয়ে। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন রসুল মন্ডলের ছেলে জাকারিয়া হোসেন মিলন(৩৮) ও রসুল মন্ডল(৬০)। মহানগরীর তেরখাদিয়া পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত বদর উদ্দিন খান এর ছেলে বাবুল আক্তার খান(৪০), পুঠিয়া থানা আমলী আদালত, রাজশাহীতে দন্ড বিধি ৪০৬/৪২০/৩৪ ধারায় ০৮-০৪-২০২৪ ইং তারিখ এই মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি হওয়ার পরে কোর্ট থেকে গত ০৩-০৬-২০২৪ ইং তারিখ প্রািতবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু পুঠিয়া থানার তদন্ত কর্মকতা এস.আই সুজন প্রতিবেদন জমা দেননি। এরপর গত ২৩-০৮-২০২৪ ইং তারিখ দ্বিতীয় তারিখ দেন। কিন্তু সেই তদন্ত অফিসার অত্র তারিখেও প্রতিবেদন জমা দেননি বলে জানান বাবুল। তিনি আরো বলেন, প্রতিবেদন দেয়ার জন্য তদন্ত অফিসারকে বললে তিনি নগদ অর্থ দাবী করেন। নগদ অর্থ না দিলে প্রতিবেদন ভাল হবেনা বলে সাফ জানিয়ে তিনি। এমন অভিযোগও করেন বাবুল। প্রতিবেদন না দেয়ায় মামলার কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন বলে জানান বাবুল। সেইসাথে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য তদন্ত অফিসারের নিকট দাবী জানান।
উল্লেখ্য মামলার বাদী বাবুল আক্তার খান বলেন, দীর্ঘ পনের বছর ধরে তারা সংসার করেছেন। এরমধ্যে তাদের কোন সন্তান হয়নি। তার স্ত্রী সন্তানাদি নিতে চাইতেন না। গর্ভবতী হলে তার স্ত্রী সকলের অগোচরে গর্ভপাত ঘটাতেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়শই কথা কাটাকাটি হত। এর মধ্যেই নাজনীন নাসিং পাশ করেন। বাবুল আরো বলেন, তার স্ত্রী নার্সিং পাশ করে ঢাকায় যেতে চাইলে তিনি বাধা দেন। কিন্তু তিনি নিষেধ অমান্য করে ঢাকার যান চাকরী করতে। এ থেকেই তাদের মধ্যে দুরত্ব আরো বেড়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী তাকে তালাক দেননি। তালাক না দিয়েই ঢাকায় আরেকটি বিয়ে করেছেন। এই কথাগুলো তিনি লোক মারফত জানতে পারেন। এ অবস্থায় স্ত্রীকে রাজশাহীতে ফিরে আসতে বললে তিনি আসবেন না বলে জানিয়ে দেন। সেইসাথে তিনি আর সংসার করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দেন। ঢাকায় বিয়ে করলেও তার নিকট হতে টাকা নিতেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি স্ত্রীর নিকট হতে পাওনাকৃত ৩,৬০,০০০/( তিন লক্ষ ষাট হাজার) টাকা এবং বিভিন্ন ধরনের সোনার গহনা বাবদ ৩,০০০০০/- (তিন লক্ষ) টাকা, সর্বমোট ৬,৬০,০০০/- (ছয় লক্ষ ষাট হাজার) টাকা চান। সমস্ত টাকা ফেরত দেয়া মর্মে নাজনীন একটি অঙ্গীকার নামা করেন। সমস্ত টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললেও স্ত্রী অদ্যবধী কোন টাকা ফেরত দেননি বলে জানান বাবুল। তিনি তার সমস্ত টাকা ফেরত চান। সেইসাথে তার প্রতারক স্ত্রীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান।
মামলার তদন্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে বাদীকে তদন্ত কর্মকর্তা পুঠিয়া থানার এস.আই সুজন বলেন, দ্রুত সময়ে মধ্যে প্রতিবেদন দেয়া হবে।