নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এশিয়ার মধ্যে একটি অন্যতম হাসপাতাল। এই হাসপাতালে উত্তারাঞ্চলের প্রায় জেলা থেকে মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন। কারন এটা বিভাগীয় পর্যায়ে হাসপাতাল হওয়ার প্রায় সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এখানে স্থানীয় থেকে বহু দুরদুরান্ত থেকে সাধারণ ও মুমুর্ষ রোগিরা আসেন চিকিৎসা নিতে। কিন্তু তারা এসে মেডিকেলে প্রবেশ করতে পরেন বিড়ম্বনায়। কারন সকাল থেকে বিকেল দুপুর পর্যন্ত মেডিকেলের সামলে লেগে থাকে মারাত্বক যানজোট।
রাস্তা বড় হলেও মেডিকেলের সামনের রাস্তায় প্রতিদিন বসে ভ্রাম্যমান দোকান। ভ্যান নিয়ে প্রতিদিন সেখানে বসেন তারা। এতে করে ব্যাপকভাবে যানজোট লেগেই থাকে। এই দোকানগুলো লক্ষ্মীপুর মোড়ের ইসলামী হাসপাতালের সামনে থেকে প্রতিদিন বসে। এদিনে মেডিকেলের দক্ষিণপার্শে পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে দিয়ে স্থায়ীভাবে বসেছে খাবারের হোটেলসহ অন্যান্য দোকান। শুধু তাইনয় সে রাস্তাতে থাকে মাইক্রোবাসসহ এ্যাম্বলেন্স। এতে করে দুইপার্শেই রাস্তা সরু হয়ে পড়েছে। এজন্য জনগণ সবথেকে বেশী ভোগান্তিতে পড়েছে। একণ জনগণ ঐ রাস্তা বাদ দিয়ে বিকল্প রাস্তা দিয়ে সাহেববাজারসহ অন্যান্য স্থানে যান। আর যাদের গতি নেই, মেডিকেলে যেতেই হবে, তাদেরকে এই অসহ্য যানজোট ঠেলেই মেডিকেলে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
পথচারী নিলয়, আশিক, মধু, তুহিন ও আসগর আলীসহ আরো অনেকে বলেন, লক্ষ্মীপুর মেডিকেলের সামনে এবং লক্ষ্মীপুর মোড়ের ফুটপাত ও রাস্তার উপরের সকল ভ্রাম্যমান দোকন থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দলীয় লোকজন প্রতিদিনি দোকান প্রতিটি একশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত আদায় করত। এর ভাগ লক্ষ্মীপুর পুলিশ বক্সের আইন শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরাও খেতেন বলে তারা অভিযোগ করেন। তারা আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়েছে। পালিয়েছে সকল ধরনের নেতারা। তাহলে এই ফুটপাত এখন কার দখলে। কারা এখন প্রতিদিন দোকান থেকে টাকা উত্তোলন করছেন। অসহনীয় যানজোট কেনইবা পুলিশের নজরে আসছেনা। এমন হাজারো প্রশ্ন তাদের।
এ বিষয়ে ফুটপাতের দোকানদের নিকট জানতে চাইলে তারা মুখছেন না। সময় হলেই জানতে পারবেন বলে উল্লেখ করেন তারা।