নিজস্ব প্রতিবেদক:“ আদিবাসী অস্তিত্ব সংরক্ষণ ও মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নিজেকে অধিকতর সামিল করুন” এই স্লোগানে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা মাসাউস এর আয়োজনে বৃহস্পতিবার বিশ^ আদিবাসী দিবস পালন করা হয়। পবার দামকুড়া হাট মাসাউস সংস্থা কার্যালয় প্রাঙ্গনে মেনোনাইট সেন্ট্রাল কমিটি বাংলাদেশ এর সহযোগিতা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাসাউস এর নির্বাহী পরিচালক মেরিনা হাঁসদা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামকুড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস আলম, নজিবুর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল হক, সিএমএইচ দামকুড়া হাট এর ইন্চার্জ ইসমত আরা নয়ন, নবাই বটতলা মিশনের সিস্টার সেলিনা রাড়ই, আদিবাসী গবেষক ও সাবেক এনজিও কর্মকর্তা স্পেরাতুস বিশ^াস ও নাগরিক ঐক্যের প্রশিক্ষক থাদিয়াস বিশ^াস। মাসাউস এর ফিল্ড সুপারভাইজার তরিকুল ইসলাম এর সঞ্চলনায় আরো উপস্থিত ছিলেন ফিল্ড অর্গানাইজার মারিশটেল্লা মার্ডী ও ইসমত আরা খাতুনসহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ এবং আদিবাসী জনগণ।
উপস্থিত অতিথি বলেন, আদিবাসীরা এদেশের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই সম্প্রদায়কে পিছনে ফেলে দেশের উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। আদিবাসী জনগণকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে সঠিক শিক্ষা প্রদান এবং কারীগরি শিক্ষা প্রদান করতে হবে। চাকরীতে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের যে কোটা রয়েছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করার আহ্বান জানান তারা।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আদবাসীরা আগের থেকে কিছুটা এগিয়ে গেলেও সুযোগের অভাবে তারা সঠিক কর্মে প্রবেশ করতে পারছেনা। তিনি বলেন, জাতীসংঘ আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও দুর্ভাগ্যবশত: বাংলাদেশ তাদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি না দিয়ে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি বলে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তিনি এর প্রতিবাদ জানান। কারন বাংলাদেশে কেউ ক্ষুদ্র নয়। কারন এই দেশ স্বাধীন করতে অনেক আদিবাসী যুদ্ধ করেছেন। অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন। ক্ষুদ্র হয়ে থাকার জন্য নয়। বাংলাদেশের সংবিধানে সবাই সমান। তিনি আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানান। সেইসাথে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বক্তব্য শেষে আদিবাসী শিল্পিদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।