নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীতে ‘শহীদি মার্চে’ তারুণ্যের ঢল নেমেছিল রাজপথে। শেখ হাসিনার সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির মাস পূর্তি উপলক্ষে ‘শহীদি মার্চ’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাজশাহী। বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরের তালাইমারিতে ও সাহেববাজার জিরোপয়েন্টে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার বিপুল সংখ্যক মানুষ যোগ দিয়েছিলেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী জেলার আয়োজনে এই শহীদি মার্চ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় রাজশাহী নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট থেকে রেলগেটসহ বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সম্মিলিত পদযাত্রায় মিলিত হয়। তালাইমারি মোড় থেকে মার্চ শুরু হয়। পরে জুলাই বিপ্লবের শহীদদের স্মরণে কবিতা, গান ও স্মৃতিচারণমূলক অন্যান্য কর্মসূচি পালন করা হয়।
নগরীর তালাইমারিতে এসে সম্মিলিত ছাত্র-জনতা ‘আমার ভাই কবরে, হাসিনা কেন বাইরে, ‘আমার ভাই কবরে, লিটন কেন বাইরে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, ফ্যাসিবাদের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায়, হাসিনার ঠাঁই নাই’, ‘ছি ছি হাসিনা, লজ্জায় বাচি না ‘, ‘তুমি কে আমি কে, শাকিব আনজুম’, ‘তুমি কে আমি কে, আলী রায়হান, আলী রায়হান’, ‘ফাসি ফাসি ফাঁসি চাই, শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
শহীদদের স্মরণে অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সমন্বয়ক রাশেদ রাজন বলেন, তাদের ছাত্র আন্দোলনের লক্ষ্য হচ্ছে, একটি বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ উপহার দেওয়া। তাই যতদিন পর্যন্ত এই নতুন বাংলাদেশ না পাবেন ততদিন তারা রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মিশকাত বলেন, দেশ গঠনের জন্য সবার আগে নিজেকে গড়তে হবে। এই ছাত্র-জনতাই সামনের বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে। গত ১৫ বছর হাসিনা নিজেদের লোকজনকে এদেশের সব লুটেপুটে খেয়েছে। আর তা হবে না।
তিনি বলেন, তাদের শহীদি মিছিল এখনো থামেনি, প্রতিদিন নতুন নতুন ভাই এই মিছিলে যুক্ত হচ্ছেন। এই শহীদি মিছিলের সাথে কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করবেন না। মনে রাখবেন রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে এই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। যারা সমন্বয় পরিচয়ে বিভিন্ন অপকর্ম করছে তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।