নিজস্ব প্রতিবেদক: নেসকো আইসিটি রাজশাহী, বগুড়া, নওগাঁ, রংপুর ও দিনাজপুর জেলার কম্পিউটার সেন্টারে কর্মরত আউটসোর্সিং বৈষম্য বিরোধী কর্মচারীবৃন্দের আয়োজনে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে নগীর বিন্দুর মোড় এলাকায় নেসকো আইসিটি সেন্টারের সামনে এই মানববন্ধন করেন তারা। সেইসাথে আইসিটি অপারেশন এন্ড অটোমেশন দপ্তরের আউটসোর্সিং পদ্ধতির সকল কর্মচারীকে রাজস্ব খাতে স্থানান্তরের দাবিতে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এ সময়ে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ বলেন, তারা নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (আইসিটি অপারেশন এন্ড অটোমেশন) দপ্তরের আওতাধীন রাজশাহী ও রংপুর জোনের সকল কম্পিউটার/বিলিং সেন্টারে আউটসোর্সিং পদ্ধতিতে দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মরত আছেন। তারা অত্র জোনের বিভিন্ন কম্পিউটার সেন্টারে দীর্ঘদিন যাবৎ অস্থায়ী ভিত্তিতে সততা, নিষ্ঠা ও সুনামের সাথে সন্তোষজনকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং বিদ্যুৎ সেবার অংশ হিসাবে সেবা দান করে চলেছেন।
তারা আরো কম্পিউটার সেন্টার নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই পিএলসি’র গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হলেও এখানকার কর্মচারীগণ সবচেয়ে বেশি অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত। ফলে তাদের বৈষম্য দূরীকরণের জন্য প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বরাবরেএর পূর্বে বিভিন্ন দাবী উল্লেখ করে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু তারা কোন প্রকার ফলাফল পাননি বলে উল্লেখ করেন।
তারা আরো বলেন, তারা বর্তমানে ঠিকাদারের মাধ্যমে বেতন ভাতা পান। কিন্তু এই টাকাতো সরকার দেয়। তাহলে ঠিকাদারের মাধ্যমে না দিয়ে সরাসরি ব্যাংকের মাধ্যমে তাদের নিকট বেতন, বোনাসসহ অন্যান্য ভাতাদি প্রদান করার দাবী জানান। তারা বলেন, চাকরী স্থায়ীকরনের কথা বললে উর্ধ্বতন কর্তপক্ষ বলেন, তারা এই অফিসের নিয়োগপ্রাপ্ত নয়। সেজন্য চাকরী স্থায়ী করার প্রশ্নই আসেনা। কিন্তু তারা ১০-১২ বছর ধরে এই অফিসে চাকরী করছেন। এখন তাদের আর যাওয়ার যায়গা নাই। এমনকি বয়সও নাই বলে জানান তারা।
তাদের দাবী সমূহ না মানলে সকল কম্পিউটার সেন্টারের কর্মচারীবৃন্দ স্ব স্ব দপ্তরে অবস্থান করে কর্মবিরতি পালন করবেন এবং তাদের এই যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন চলমান থাকবে বলে হুঁমিয়ারী দেন তারা।
এ সময়ে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন বেষম্য বিরোধী কর্মচারীবৃন্দের প্রতিনিধি আলী হাসান নয়ন, মুন্না, মফিতি, ইব্রাহিম, কামরুল হাসান, অপু, মোর্শেদা, ফাতেমা, মাহি, শিথিলা, আসাদ, রাশিদুর রহমান, গোলাম মোস্তফা, হারুন ও মুকুলসহ অন্যান্য কর্মীবৃন্দ।