নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজের অনিয়ম ও অন্যায়ের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সোমবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে রাজশাহী সরকারী সিটি কলেজ চত্বরে এই সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, রাজশাহী সরকারি সিটি কলেজের ছাত্র কমন রুম কক্ষ ছাত্রলীগ কর্তৃক অসামাজিক কার্যকলাপ চাঁদাবাজি আগ্নেয়অস্ত্র ব্যবহার করার এবং একই সাথে কলেজ অধ্যক্ষের অনৈতিক কার্যকলাপের সহায়তার দায়ে বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র জনতার চাপে অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীনের পদত্যাগ প্রসঙ্গে এই সংবাদ সম্মেলন।
তারা উল্লেখ করেন গত ৫আগস্ট ক্ষমতাচ্যূত আওয়ামীলীগ সরকারের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগ কর্তৃক কলেজের ছাত্র কমন রুম কক্ষ জবর দখল করে আগ্নেয়অস্ত্র দ্বারা ছাত্র নির্যাতন, টর্চার সেল, মাদক সেবন, অসামাজিক অনৈতিক কার্যকলাপ করলেও কলেজ অধ্যক্ষ নিরব থাকায় কলেজের শিক্ষার পরিবেশ গত ১৫ বছরে মারাত্মক ভাবে বিঘ্নিত হয়েছে। একই সাথে কলেজের শিক্ষার মান অবনতি হয়েছে। একটি সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের পেটুয়া বাহিনী এমন গর্হিত কার্যকলাপ প্রশয় দেওয়ার কারণে অধ্যক্ষ এর পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলশ্রুতিতে অধ্যক্ষ গত ১৩ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখ অধ্যক্ষ উপধ্যক্ষের কাছে তাঁর পদত্যাগ পত্র জমা দেন। যাহার স্মারক নং-৯০৮ আরজিসিসি।
তারা আরো উল্লেখ করেন কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রলীগ বিরোধী যে সকল ছাত্র সংগঠন ছিল তার নেতা কর্মীদের প্রতিনিয়ত ধরে নিয়ে গিয়ে কলেজ ছাত্রাবাসে টর্চার সেলে অমানবিক নির্যাতন চালাতো এবং এরই অংশ হিসেবে ছাত্রদল কর্মী ইয়াছির আরাফাতকে অমানুষিক নির্যাতন করে আহত করে। এই ঘটনায় কলেজের শিক্ষকদের সম্পাদক ইতিহাস বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ইফফাত জেরিন এর নিকট মৌখিক অভিযোগ করলেও তিনি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হন। তিনি ইয়াছির আরাফাতকে বলেন, তুমি ছাত্রদল করো অতএব এখানে তাঁর কিছু করার নাই। এছাড়াও তারা অর্থনৈতিক নানা অসঙ্গতি তুলে ধরে অধ্যক্ষর দ্রুত পদত্যাগ দাবী করেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আহ্বায়ক ফরহাদ আহম্মেদ সোহান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আবু সাঈদ হাসান রিয়াদ, তানভীর হাসান, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ আসিফ নাফি ও আব্দুর রহমান ওমর।
এ বিষয়ে অধ্যক্ষ আমিনা আবেদীন বলেন, তিনি সরকারী চাকরী করেন। বিগত ১৩ আগস্ট কতিপয় শিক্ষার্থী নামধারী বহিরাগতরা তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে তাদেরই লেখা পদত্যাগপত্র জোরপূর্বক স্বাক্ষর নেয়। কিন্তু সরকারী কর্মচারীকে কাউকে পদত্যাগ বা ক্ষমতাচ্যুত করতে হলে অনেক নিয়মের মধ্যে দিয়ে যেদেত হয়। তিনি সকল নিয়ম মেনে দায়িত্ব পালন কওে যাচ্ছে বল উল্লেখ করেন। তিনি আরো বলেন, তাঁর কর্তৃপক্ষ যদি পত্র মারফত পদত্যাগ করতে বলেন তাহলে তিনি একদিনও এই চেয়ারে বসবেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। শিক্ষা বিভাগের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই কলেজের দায়িত্ব পালন করছেন বলেও জানান অধ্যক্ষ।