নিজস্ব প্রতিবেদক: ঐতিহ্যবাহী দেশসেরা রাজশাহী কলেজে সদ্য পদায়নকৃত অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. আনারুল হককে বহিস্কারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে রাজশাহী কলেজ প্রশাসন ভবনের সামনে ঐ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে চাটুকারিতা, দূর্নীতি ও স্বৈরাচারদের দোসর বলে অভিযোগ এনে বিক্ষোভ করেন তারা।
তারা বলেন, স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামী লীগের দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্যই দলের সুপারিশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পদ বাগিয়ে নেন অধ্যাপক আনারুল। শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক থেকে শুরু করে রাজশাহীর শহীদ বুদ্ধিজীবী সরকারি কলেজেও অধ্যক্ষের পদ দখল করেন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক দুর্নীতিবাজ মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটনের মদদেই এসব পদ দখল করতেন তিনি।
বক্তব্যে তারা আরো উল্লেখ করেন রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বোর্ডের ১৮ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০২০ সালে তিনটি মামলা করে দুদক। দুদকের তদন্ত প্রতিবেদনেও এসব তথ্য উঠে আসে। আত্মসাতের সমপরিমাণ টাকা বোর্ডের ফান্ডে জমা দেওয়ার মাধ্যমে আসামিরা মামলা থেকে অব্যাহতি পান। এতকিছুর পরও শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান হওয়ার তদবিরে উঠে পড়ে নামেন এই বিতর্কিত শিক্ষক। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বেরিয়ে এসেছে।
এছাড়াও রাজশাহী বোর্ড চেয়ারম্যানের স্বপ্ন পূরণ না হলেও তৎকালীন মেয়র লিটনের সুপারিশে পেয়েছেন বুদ্ধিজীবী কলেজের অধ্যক্ষের চেয়ার। সেই বিতর্কিত, দুর্নীতিবাজ, স্বৈরাচার সরকারের দালাল, শিক্ষক নামের পা চাটা গোলামকে দেশসেরা রাজশাহী কলেজের অধ্যক্ষ পদায়নের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তারা।
সবার প্রাণের ক্যাম্পাস রাজশাহী কলেজে এই বিতর্কিত শিক্ষককে অধ্যক্ষ হিসেবে দেখতে চান না। অবিলম্বে তাঁকে অন্যত্র পাঠিয়ে শিক্ষার্থী বান্ধব, সৎ ও যোগ্য কাউকে অধ্যক্ষ হিসেবে পদায়নের দাবি জানান। অন্যথায় দেশসেরা কলেজের শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।
এসময় রাজশাহী কলেজের শিক্ষার্থী, আব্দুর রহিম, মহুয়া জান্নাত, সজিব মাহমুদ, মাহমুদুল হাসান, সোহেল রানাসহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন বর্ষের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।