নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহীর লক্ষীপুর এলাকায় দোকান ফলের দোকান ও মোটর সাইকেল গ্যারেজ ভাঙ্গচুর করা নিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ ও তার তাদের অনুগত সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার রাতে দুইটি অভিযোগ করা হয়েছে। প্রথম অভিযোগটি করেন ইয়ারুল ইসলাম নামে এক ফল ব্যবসায়ী। তিনি রাজশাহী মহানগরীর ৭নং ওয়ার্ড বিএনপি’র আহ্বায়ক মৃত আজীজুর রহমান এর ছেলে কচি(৪৭), অত্র ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান(৪৭), আতাউর রহমানের ছেলে সাব্বির মাহমুদ (২১) ও জিসানসহ অজ্ঞাতনামা ১৪ থেকে ১৫ পনের বিরুদ্ধে রাত ৮টায় রাজপাড়া থানায় মামলা করেছেন। সবার বাড়ি রাজপাড়া থানাধীন চন্ডিপুরে।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন আমার ফলের দোকান ভেঙ্গে দিয়েছে। তিনি তাৎক্ষনিক সংবাদ পেয়ে তার দোকানে এসে দেখেন তার দোকানের সকল মালামাল রাস্তায় ফেলে দিয়েছে। তিনি দোকান ভাঙ্গার বিষয়ে বিবাদীদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে বিবাদীগণ কোন কথা না বলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে এবং ব্যবসা করলে চাঁদা দিতে হবে জানান। তিনি চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আসামীগণ এলোপাথাড়ী মারধর করে তাকে আহত করে এবং তারা দোকান ও মালামাল সহ নষ্ট করে ত্রিশ হাজার টাকার ক্ষতি করেছেন উল্লেখ করেন।
এদিকে শাহিন নামে আরেক গ্যারেজ ব্যবসায়ী জিসান বাদে উপরোক্ত তিনজনসহ আরো অজ্ঞাত ৪ থেকে ৫ জনের নামে অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন রাজপাড়াধীন নির্বাচন অফিসের পাশে সিটি কর্পোরেশনের যাত্রী ছাউনি, বেল্লাল হোসেন সিটি কর্পোরেশন থেকে লিজ নেন। এরপর তিনি বেল্লাল হোসেন এর নিকট থেকে যাত্রী ছাউনিটি দুই হাজার টাকা মাসিক ভাড়া চুক্তি নিয়ে মোটর সাইকেল গ্যারেজ দিয়ে কর্ম করে খাচ্ছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কারনে সরকার পরির্বতন হলে সকল আসামীগণ মাঝে মাঝে তার দোকানে এসে হুমকি দিয়ে বলে এ দোকান গুলো তাদের দখলে। এখন থেকে তারা ভাড়া নেবেন বলে ভয় দেখায়। গত মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪) তারিখে অনুমান রাত ১০টার সময় বিবাদীগণ তার গ্যারেজে এসে উত্তেজিত হয়ে বলে দোকান ভাড়া তাদেরকে দেওয়া লাগবে, তিনি আসামীদেরকে সিটি কর্পোরেশনের কাগজ দেখাতে বললে তারা বলেন, এতদিন অন্যরা খেয়েছে, এখন আমরা খাবো বলে গ্যারেজ বন্ধ করার হুমকি দিয়ে চলে যায়। তারা উভয়ে আসামীদের আটক করে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।
রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মশিউর রহমান বলেন, অভিযোগ হয়েছে। তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে উল্লেখ করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।