নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী মহানগরের আয়োজনে শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নগরীর কোট ঢালুর মোড়ে একটি রেস্টুরেন্ট এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর সাবেক এমপি অধ্যাপক মজিবুর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামকে সব থেকে বেশী নির্যাতন করেছে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার। জামায়াতের নেতাদের দেখামাত্র গুলি করার নির্দেশ দিয়েছিলো। এ কারনে বহু নেতাকর্মীকে খুনি হাসিনার নির্দেশ্যে হত্যা করা হয়ছে। পুলিশ জনগণের টাকায় চলে। অথচ সেই পুলিশ জনগণকে হত্যা করেছে। এটা কোনভাবেই মেনে নেয়া যায়। স্বৈরাচার খুনি হাসিনাকে ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে ৫ আগস্ট পতন ঘটিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। এখন দেশকে ঢেলে সাজানোর পালা। এজন্য তারা বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চান। কারন আওয়ামীলীগের দোসর ও আমলারা এখনো প্রশাসনে বসে আছে। অনেক পুলিশ এখনো বহাল রয়েছে। তাদের বিতরিত করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। আর প্রশাসনে নিরপেক্ষ লোকদের বসানোর আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জরুরী আইন কওে ক্ষমতায় তাকা যায়না। আল্লাহ যখন যাকে ক্ষমতাচ্যুত করতে পারে। আগামীতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে একি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠার করার আহ্বান জানান। সেইসাথে এই দেশে আর কোন স্বৈরচার সরকার ঠাঁই হবেনা বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, শ্রমিকরা হচ্ছেন আল্লাহর বন্ধু। এজন্য শ্রমিকদেও সম্মান করতে হবে। তাদেও গায়ের ঘাম শুকানোর আঘে মজুরী দিতে হবে। তিনি সকল শ্রমিকদের জামায়াতের পতাকা তলে আসার আহ্বান জানান। সেইসাথে আল্লাহর হুকুম মেনে চলার জন্য সবাইকে পরামর্শ দেন তিনি।
সম্মেলনে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজশাহী মহানগর শাখার আমীর ডঃ মাওলানা কেরামত আলী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ও রাজশাহী অঞ্চলের পরিচালক মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী মহানগরের সিনিয়র সহ-সভাপতি আফাজ উদ্দিন সরকার ও পরিবহন সভাপতি কুতুব উদ্দিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজশাহী মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুস সামাদ।